2দৈনিক বার্তা: পরিবেশ দূষণ কমানো ও খনিজ সম্পদ রক্ষার জন্য বিকল্প শক্তির উৎস সৌরবিদ্যুৎ।আর এই সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা এবং সহায়তা।শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সোলার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক জি এম মাহবুবুল আলম।

মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের উন্নয়ন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রকৃতির দান সূর্যের আলো  থেকে উৎপাদিত  সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে হবে। আর এ জন্য সরকার এগিয়ে এলে খাতটিকে অনেক দূরে এগিয়ে নেয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, ঢাকাসহ  দেশের বিভিন্ন শহরে বাসভবন, কল-কারখানা, অফিস-আদালতের ছাদে  সোলার প্যানেল স্থাপন করলে প্রায় এক হাজার  মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। বর্তমানে প্রায় ৩০০  মেগাওয়াট বিদ্যুৎ  সৌরবিদ্যুতের আওতায় উৎপাদন করা হচ্ছে। এর ফলে সারা  দেশে প্রায় তিন লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ  তৈরি হয়েছে। তাই এই খাতকে আরও প্রসারিত করতে পারলে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তিনি আরও বলেন,সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার করে কল-কারখানা এবং বাণিজ্যিক খাতে অনেক সাফল্য এসেছে। তাই এটিকে সর্বস্তরে  পৌঁছে দেয়ার জন্য বেসরকারি খাত সরকারি সহযোগিতার দিকে তাকিয়ে আছে।

সৌরবিদ্যুতর ব্যবহার বাড়াতে সোলার প্যানেল সহ অন্যান্য সামগ্রীর আমদানির ক্ষেত্রে ভ্যাট মওকুফ ও উৎপাদন সহজলভ্য করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

এ সময় সংগঠনটি  সৌরবিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে কিছু দাবি তুলে ধরে। এর মধ্যে আছে–বিদ্যুৎবিহীন এলাকায়  সোলার ইরিগেশন পাম্প ব্যবহারকারীদের মোট খরচের ৮০ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া, প্রত্যেক পরিবারে বিদ্যুৎ  পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ও জাতীয় গ্রিডে ১০ শতাংশ  সৌরবিদ্যুৎ  যোগ করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, আগামী বাজেটে এই খাতে সরকারি বিভিন্ন প্রণোদনা রাখা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন  সোলার বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাইফুল হক, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মহসীন মিয়া, সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।