1মাছ খেতে এসে জীবন গেল তিনটি দাঁড়াশ সাপের। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার নাটোর শহরের বাইপাস সড়কের নবীনগর এলাকায়। বর্তমান সময়ে বিরল এ সাপ তিনটির মধ্যে দু’টির দৈর্ঘ্য প্রায় সাত ফুট ও বাকিটির চার ফুট।

স্থানীয়রা জানান, নারদ নদের ব্রিজের নিচে মাছ ধরার জন্য স্থানীয় লোকজন রাতের বেলায় বাঁশের তৈরি খোলসুন পেতে রাখেন। শনিবার পেতে রাখা এমন এক খোলসুনের ভেতরে মাছ খেতে একে একে ঢুকে পড়ে তিনটি দাঁড়াশ সাপ। রবিবার সকালে খোলসুনটি পানিতে থেকে তুলে ডাঙায় রাখা হয়। দাঁড়াশ সাপ আটকা পড়ার খবরে এলাকার লোকজন দেখার জন্য ছুটে আসে। এসময় সাপ তিনটি খোলসুন থেকে বেরিয়ে পালাবার চেষ্টা করে। গোখরা সাপের জম হিসেবে পরিচিত দাঁড়াশ সাপগুলোকে অনেকে ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু, কয়েকজন অতি উৎসাহী ব্যক্তি লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সাপ তিনটিকে মেরে ফেলে।

প্রসঙ্গত, দাঁড়াশ সাপকে সাধারণত গোখরার মতো বিষাক্ত সাপের জম বলা হয়। কথিত আছে, যে বাড়িতে দাঁড়াশ সাপ থাকে সেখানে অন্য বিষাক্ত সাপ ঢুকতে পারে না। একান্ত গায়ে না পড়লে এ সাপ মানুষের ক্ষতি করেছে এমন কথাও খুব একটা শোনা যায় না। অনেকে দাঁড়াশ সাপের দেখা পাওয়া সৌভাগ্যের লক্ষণ মনে করে। বছর কুড়ি আগেও বাংলাদেশে দাঁড়াশ সাপের শারীরিক মিলনের সময় মাটিতে গামছা পেতে দেওয়ার সংস্কার প্রচলিত ছিল। বলা হত মিলনকালে সাপযুগল যার গামছার ওপরে উঠবে তার ভাগ্য খুলে যাবে। এ কারণে সামনে পড়লেও দাঁড়াশ সাপ মারত না কেউ। একসময় গ্রামে-গঞ্জে, গেরস্থের গোয়াল ঘরে অহরহ দাঁড়াশ সাপের দেখা মিললেও প্রকৃতির পরিবর্তনে বর্তমানে এগুলো চোখে পড়ে না বললেই চলে।