2দৈনিক বার্তা : রহস্যজনকভাবে মাঝআকাশ থেকে উধাও হয়ে যাওয়া মালয়েশিয়ান উড়োজাহাজের সন্ধানে রেকর্ড পরিমাণ ব্যয় করল বিশ্ব৷ এখনও পর্যন্ত মালয়েশিয়া বোয়িং বিমান এমএইচ অনুসন্ধানে জলে গিয়েছে ১০ কোটি মার্কিন ডলার৷ আর ইউরোতে এর পরিমাণ সাত কোটি ২০ লক্ষ৷ বিশ্বের ইতিহাসে কোনও বিমান অনুসন্ধানে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়নি৷
৮ মার্চ ২৩৯ যাত্রী নিয়ে টেকঅফ করার প্রায় এক ঘণ্টা পরেই মাঝআকাশে কার্যত ‘মিশে’ গিয়েছে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ বিমান৷ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ এই বিমানের খোঁজে কয়েকটি দেশ সম্মিলিতভাবে নজিরবিহীন অনুসন্ধান চালাচ্ছে৷ মহাসাগরের যে এলাকা থেকে বিমানটির ব্ল্যাকবক্স থেকে ভেসে আসা সংকেত পাওয়া গিয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছিল, সেখানে এখনও মিনি সাবমেরিন দিয়ে অনুসন্ধান চলছে। বৃহস্পতিবার চতুর্থ দফার অনুসন্ধান চালানোর সময়ে মার্কিন নৌ বাহিনীর ব্লু-ফিন-২১ নামের অটোনমাস আন্ডারওয়াটার ভেহিকেল বা এইউভি সাড়ে চার হাজার মিটারের চেয়ে গভীরে নেমেছিল। সেই অনুসন্ধানে যুক্ত কর্মকর্তারা শুক্রবার বলেছেন, সাধারণভাবে যে সব অনুসন্ধান তৎপরতা চালানো হয় তার চেয়ে জলের অনেক বেশি গভীরে নেমেছিল এই মিনি সাবমেরিন। এইউভি ৪,৬৯৫ মিটার গভীরে চলে গিয়েছিল৷ একই সঙ্গে সাগরের তলে পঞ্চম দফা অনুসন্ধান শুরু করেছে ওই মিনি সাবমেরিন। এ পর্যন্ত এ সাবমেরিন দিয়ে সাগরের তলদেশের ১১০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। তবে এখনও বিমানটির ব্ল্যাকবক্সের কোনও সুত্র পাওয়া যায়নি৷
নিখোঁজ বিমানের অধিকাংশ যাত্রীই মালয়েশিয়া, চিন ও অস্ট্রেলিয়ার৷ এই অনুসন্ধানে তারাই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করছে। ফ্রস্ট অ্যান্ড সুলিভান এশিয়া প্যাসিফিকের বিমান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রবিকুমার মাধবরাম বলেছেন, এখনও পর্যন্ত অনুসন্ধানের জন্য ব্যয় হয়েছে ১০ কোটি ডলার বা ৭ কোটি ২০ লক্ষ ইউরো।1
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে আটলান্তিক মহাসাগরে বিধ্বস্ত এয়ার ফ্রান্সের ফ্লাইট৪৪৭ এর ব্ল্যাকবক্স খুঁজে বের করতে দু’বছর সময় লেগেছিল। ফ্রান্স, ব্রাজিল এবং আমেরিকা যৌথভাবে ওই অনুসন্ধান চালায়৷ সেই অনুসন্ধানে ব্যয় হয় আট থেকে ১০ কোটি ডলার।