1বিএনপির সহযোগী সংগঠন ঐক্য পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করার কথা থাকলেও শেষ মুহুর্তে তা বাতিল করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।রোববার সকাল ১০টায় বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো।

এ লক্ষ্যে ওইসব নামসর্বস্ব সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী সকাল থেকে গুলশানের বিএনপির রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকে। বৈঠকে প্রতিটি সংগঠনের ২ জন করে নেতা উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ২০-৩০জন করে কর্মী উপস্থিত হয়।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত হন গুলশানের কার্যালয়ে। এসময় অনেক লোকজন দেখে হতবাক হন এবং বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি এসব দলের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে বৈঠক না করেই গুলশানের অফিস ত্যাগ করেন।গুলশান অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এজন্য সকাল থেকে ওই কার্যালয়ের আশপাশে বিএনপির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কয়েকশ নেতা-কর্মীকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।

তবে ঐক্য পরিষদ নেতাদের ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দলকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের সঙ্গে মত বিনিময়ে ডাকা হলে বাধে বিপত্তি।এরপর পূর্ব নির্ধারিত এ কর্মসূচি বাতিল করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের নামে স্লোগান দিয়ে মিছিল বের করে। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন অনেকে।

পরে ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মহাসচিবের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। কিন্তু উনি ১০ জনের প্রতিনিধি নিয়ে বসতে চেয়েছিলেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে সম্ভব হয়নি। তাই তিনি চলে গেছেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঐক্য পরিষদ নেতাদের পরবর্তীতে সময় দিতে চেয়েছেন জানিয়ে হানিফ বলেন,আমরা আশা করছি সুবিধাজনক সময়ে তার সঙ্গে মত বিনিময় করতে পারবো।

এসময় ৩৮টি সংগঠনের উপস্থিত নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং মির্জা ফখরুলের বৈঠক না করার সিদ্ধান্তকে হঠকারিতা বলে মন্তব্য করেন। পরে সেখানে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ করেন তারা।

এসময় উপস্থিত কর্মীদের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের অনুসারীদের কথাকাটাকাটি এবং তর্কবিতর্ক হয় বলে কার্যালয় সূত্রে জানা যায়।

সংগঠনগুলো হলো-স্বাধীনতা ফোরাম,জিয়া সেনা, জিয়া ন্যাশনালিস্ট ফোরাম, নারী শিশু উন্নয়ন ফোরাম, জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন, নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও, বাংলাদেশ সচেতন যুব সমাজ, হৃদয়ে বাংলাদেশসহ ৩৮টি সংগঠন।

এসব সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, এসব সংগঠনগুলোর কার্যক্রম প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি কেন্দ্রীক। তারা শুধু সভা-সেমিনার করে থাকে। এসব সেমিনার দিয়ে তাদের কিছুটা আয়ও হয়।

২ বছর আগে দলের বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি এই ৩৮টি সংগঠনকে বৈধতা না দেওয়ার জন্য এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিলেন।

আগামী ৪ মে বিএনপির গণঅনশন এবং বিএনপির ভবিষ্যত আন্দোলন-সংগ্রাম কর্মসূচিতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা ছিলো।জিয়া সেনা সংগঠনের সভাপতি মঞ্জুর হোসেন জানান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের এমন সিদ্ধান্তে আমরা ক্ষুব্ধ।