1দৈনিক বার্তা : কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে  নৈত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, রাজবাড়ী, সিলেট ও নওগাঁয় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার গভীররাত থেকে সোমবার এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এসময় আহত হন ৪ শতাধিক।এছাড়া কালবৈশাখী ঝড়ে  দেশের বিভিন্ন জেলায় অসংখ্য কাঁচা ও আধাপাকা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ৩টি উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কাছা ঘরবাড়ি উড়ে গেছে এবং ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রশাসনের লোকজন জানান, ঝড়ের সময় রাতের অন্ধকারে ভয়ে দৌঁড়াদৌড়ি করতে গিয়েই তারা মারা যান। ঝড়ে শত শত বাড়িঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে।  আমাদের সংবাদদাতারা জানান,

নেত্রকোনা:  নেত্রকোনার কলমাকান্দা,  মোহনগঞ্জ, সদর ও বারহাট্টা উপজেলায় মা ও তিন সন্তানসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরো ৪ শতাধিক।নিহতরা হলেন-বিষমপুর গ্রামের আফরোজা  বেগম (২২), তার সৎ  ছেলে সাগর (১০), রাসেল (৭) ও রানা (২) , নয়নগরের মামুন (১২), আনন্দপুর গ্রামের জুনু মিয়ার স্ত্রী দিপ্তী  বেগম (৬০) ও রানিগাঁওয়ের আহালের মা (৫০),  মোহনগঞ্জের  সোমা (৯), সদর উপজেলার কদম আলী মুন্সি (৮৫) এবং বারহাট্টার এমদাদ (৩০) ।


আহালের মা ছাড়া বাকিদের মৃত্যুর বিষয়টি  জেলা প্রশাসক ড. আবুল কালাম আজাদ নিশ্চিত করেছেন। আর স্থানীয় সূত্র আহালের মার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম জানান, রাতে ঝড়ের সময়  মোতালিব মিয়ার স্ত্রী আফরোজা ৩ ছেলে নিয়ে আধাপাকা ঘরের  ভেতর অবস্থান করছিলেন। এসময় ঘরের ছাউনি উড়ে যায় ও দেয়াল ভেঙে তাদের উপর পড়লে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান।

ওসি আরো জানান,  রোববার দিনগত রাত ১২টার দিকে একই উপজেলার নয়নগর গ্রামে কাল বৈশাখী ঝড়ে গাছ ভেঙে মামুন নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া রোববার রাতে জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এ ঝড়ে পাঁচশতাধিক বাড়িঘর ও সহস্রাধিক গাছপালা লণ্ডভণ্ড ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।বাকি তিনজন মারা  গেছেন  নেত্রকোনা সদর, মোহনগঞ্জ ও বারহাট্টা উপজেলায়।

সদর উপজেলার বর্নি গ্রামের ফজর আলী (৪০), বারহাট্টা উপজেলার গাবারকান্দা গ্রামের আব্দুস সোবাহেনর ছেলে এমদাদ (১৪) ও  মোহনগঞ্জের হরিপুর গ্রামের জয়নাল আবেদিনের  মেয়ে  সোমা (৯) ঝড়ে বিধ্বস্ত ঘর ও গাছের নিচে চাপা পড়ে মারা  গেছেন।সদর থানার ওসি আবু কাওসার, বারহাট্টা থানার ওসি সালেমুজ্জামান ও  মোহনগঞ্জ থানার ওসি রুমজুল হক এ সব মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে রোববার রাত ১২টায় প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ৩টি উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কাছা ঘরবাড়ি উড়ে গেছে এবং ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রশাসনের লোকজন জানান, ঝড়ের সময় রাতের অন্ধকারে ভয়ে দৌঁড়াদৌড়ি করতে গিয়েই তারা মারা যান। ঝড়ে শত শত বাড়িঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে।

দিরাইশাল্লা, দক্ষিণ সুরমা ও সুনামগঞ্জ সদরের প্রায় ২ হাজার কাঁচা ঘর সম্পূর্ণভাবে ক্ষতি হয়েছে। আংশিক ক্ষতি হয়ে ৫ হাজার বাড়িঘর।  জেলার ধর্মপাশা উপজেলায় বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক কাঁচা বাড়ি-ঘর বিধ্বস্থের পাশাপাশি ৪ জন নিহত হয়েছেন। বোরবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ঝড়ে ইটের নিচে চাপা পড়ে শামসুদ্দিন মিয়া (৪৫) নামে এক ইটভাটা শ্রমিক নিহত হয়েছেন। তিনি মাহদিপুরের একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। এছাড়া উপজেলার সুখাইড়-রাজাপুর ইউনিয়নের নয়াহাটি গ্রামের কাছু মিয়া (৩৫), দক্ষিণ সুখাইড়-রাজাপুর ইউনিয়নের বড়কান্দা গ্রামের বেবি আক্তার (১০), মধুপুর গ্রামের সামছু মিয়া (৬২) এবং দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের দাকিয়া গ্রামের দুদু মিয়া (৩৮) বসতঘরে মাটি চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী ঝড়ে চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান, তাদেরকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হবে।

নওগাঁ: নওগাঁ সদর ও পতœীতলা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়সহ পৃথক ঘটনায় আবু ইসা (১৮), মাহমুদুল ইসলাম (৩৫) ও আব্দুর রহমান নামে তিন যুবকের মৃত্যু হয়েছে।  রোববার দিবাগত রাত ও সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।নিহত আবু ইসা নওগাঁ শহরের চকবিরাম মহল্লার শাফিকুল ইসলামের ছেলে, মাহমুদুল ইসলাম পতœীতলা উপজেলার শীতল গ্রামের হাইয়ুমুদ্দীনের  ছেলে ও আব্দুর রহমান নওগাঁ সদর উপজেলার রজাকপুর গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান,  রোববার দিবাগত রাত ১১টার দিকে  জেলার ওপড় দিয়ে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি। এসময় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন চকবিরাম এলাকায় ঘরের ছাউনি উড়ে আহত হন আবু ইসা।এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

একই সময় পতœীতলা উপজেলার শীতল গ্রামের পাশের একটি মাঠে জমিতে সেচ দেওয়ার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় ক্ষেতমজুর মাহমুদুল ইসলামের।অন্যদিকে,  সোমবার  ভোরে ঘরের বৈদ্যুতিক সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে আবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আব্দুর রহমান ঘটনাস্থলেই মারা যান।

নওগাঁ সদর থানার পরিদর্শক (ওসি) জাকির হোসেন এ সব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী): সোমবার সকালে  গোয়ালন্দ উপজেলার  দৌলতদিয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে ফরিদ শেখ (৩০) নামে এক  জেলে নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন তার ছোট ভাই মো. ফরহাদ শেখ (২৫)।তারা পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার মহনগঞ্জ গ্রামের মৃত জুলহাস  শেখের ছেলে।

সিলেট: রোববার রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার গুরতপুর গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে আলফাসুন্নেসা (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্ঘটনা ঘটে।আলফাসুন্নেসা ওই গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীরস্ত্রী।সিলেট  জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম ও কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল চৌধুরি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানের ক্ষেত, মৌসুমী ফসল ও শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত মানুষ। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ২৩টি গ্রামে শনিবার দিনগত রাতে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি সাড়ে চার মিনিটের তান্ডব চলে।

শিলার আঘাতে আহত হয়ে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন বীর আহাম্মদপুরের দিলুয়ারা (৪০), হুমায়ুন কবীর (১৫), হাবিবুর রহমান (৫০), নুর জাহান (৩৫), আব্দুল আজিজ (৬০), ভুটিয়ারকোনার লামিয়া (৫), কুমড়ী গ্রামের জমিলা খাতুন (৪০), নজরুল ইসলাম (৩০), শেখ মোঃ বাচ্চু (৪৫),  শেখ সাদি (৪০), কুশ্বাপাড়ার দেলুযা (২৫), ধারাকান্দির আশিফুল ইসলাম (১২), সাহের উদ্দিন (৬৫), বিষুমপুর গ্রামের হেলাল মিয়া (৪০), জহুরা খাতুন (৪০)। এছাড়াও গৌরীপুর হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আরো ২০ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ কালন।

মনোহারী দোকানদার শামীম জানান, শিলাবৃষ্টিতে ৬/৭ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও ৪/৫ ইঞ্চি প্রস্থের টিন ছিদ্র হয়ে  গেছে।  শিলাবৃষ্টিতে আহত ধারাকান্দির সাহের উদ্দিন জানান, জীবনে এত বড় শিলা তিনি আর  দেখেননি। কিল্লাতাজপুরের আব্দুল হাই (৪০) শিলা পড়ে আহত হয়ে মাথায় ৬/৭টি সেলাই নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রামজীবনপুর গ্রামের দুধ ব্যবসায়ী আব্দুল বারেক জানান, মাওহা, অচিন্তপুর ও সহনাটী ইউনিয়নের ৬০  থেকে ৮০ ভাগ বোরো ক্ষেতের ধান ঝড়ে গেছে। খালিজুড়ি গ্রামের কৃষক রহমত আলী জানান, তাদের জমির শতভাগ ধান বিনষ্ট হয়েছে। বীরআহাম্মদপুর গ্রামের  কছুমদ্দিন জানান, লাউ, শশা, ঢেড়স, বেগুনসহ মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যা না দেখলে বিশ্বস করা যাবে না।
সহনাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহিদাস আচার্য্য জানান, লাটুয়ারপায়া, সহনাটী, পাছারকান্দা, ভালকাপুর গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

বীরআহাম্মদপুরের দিলুয়ারা জানান, ২/৩  কেজি ওজনের শিলা পড়েছে। এতবড় শিলা তিনি কোনো দিন চোখে দেখেননি। তাদের ঘরের চালে পড়ে টিন ছিদ্র হয়ে  গেছে।

মাওহা ইউনিয়নের সাবেক  চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম জানান, শিলাবৃষ্টিতে সব ধান ঝরে গেছে। মাওহা ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ কালন জানান, বীরআহাম্মদপুর, ভুটিয়ারকোনা, কিল্লাতাজপুর, ধারাকান্দি, ভুটিয়ারকোনা বাজার, বৃ-নহাটা, মাওহা, পাজুহাটি, নয়ানগর, ঝলমলার সর্বত্রই শিলাবৃষ্টির তান্ডব চোখে পড়ে।

অচিন্তপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই জানান, খান্দার, খালিজুড়ী, অচিন্তর, গাগলা, মোবারকপুর, তাতিরপায়ার সর্বত্রই শিলাবৃষ্টির ধ্বংসযজ্ঞ আর কৃষকদের মাতম একাকার হয়ে গেছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাজাহান সিরাজ জানান, প্রাথমিকভাবে দুইশ’ হেক্টর জমি শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে জরিপ করছেন।উপজেলার সহনাটী ইউনিয়নের লাটুয়ারপায়া গ্রামের অর্ধশত পরিবারের কাঁচা, আধাকাঁচা বাড়িঘর কালবৈশাখী ঝড়ের সময় উড়ে গেছে বলেও জানা যায়। শেরপুরে সস্তির বৃষ্টিশিলাপাতে বোরো ফসলের ক্ষতি, ঝড়ে গাছ-পালা, কাচাঘর-বাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত, ব্যপক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

শেরপুর প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ দাবদাহের পর রোববার রাতে শেরপুরে সস্তির বৃষ্টি হয়েছে। ২৭ এপ্রিল রোববার রাত সোয়া ১০টা থেকে রাত ১টার পর পর্যন্ত থেমে থেমে হওয়া এ বৃষ্টিতে জনজীবনে সস্তি ফিরে এসেছে। এসময় জেলার অনেক যায়গায় মাঝারি ধরনের ঝড় এবং কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী শিলাপাতের খবর পাওয়া গেছে।

টানা দাবদাহে জনজীবন যখন প্রায় বিপর্যস্ত, মসজিদে মসজিদে বৃষ্টির জন্য দোয়া করা হচ্ছে, কৃষকের মাঠের ফসল পুড়ে যাওয়ার জোগাড়, তখন রোববার রাত ১০ একটু পর থেকে প্রায় ৪ ঘন্টাব্যপী হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টিতে শেরপুরের প্রায় সর্বত্র্ই সস্তি ফিরে এসেছে। বৃষ্টি শুরুর পূর্বে কয়েক মিনিটের ঝড়ো হাওয়ায় সদর উপজেলার বাজিতখিলাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে কিছু গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। এসময় বাতাসের ঝাপটায় পাকা ও আধাপাকা বোরো ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। ঝড়ে শেরপুর শহরের অষ্টমিতলা এলাকার শেরপুর মেমোরিয়াল স্কুলের প্রায় ১৫০ ফুট বারান্দা উড়ে গেছে। বৃষ্টির শেষ পর্যায়ে রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের মাঝপাড়া, পুরাণপাড়া, নন্দীরজোত, নলবাইদ, লছমনপুর ইউনিয়নের ছয়ঘড়িপাড়া, কৃষ্ণপুর, টিকারচর এলাকায় শিলাপাতে বোরো ধানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বৃষ্টির শুরুতেই জেলার সর্বত্রই পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শেরপুর জেলা শহরের কিছু এলাকাসহ গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যপারে বিদ্যুৎবিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ঝড়ে সঞ্চালন লাইনের তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে কোথাও কোথাও গাছের ডালপালা পড়ে সঞ্চালন লাইন বিপদজনক হয়ে আছে। সেগুলো সরিয়ে লাইন পরীক্ষা করে সরবরাহ পূণঃস্থাপনের কাজ চলছে। কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক জানান, ঝড়-বৃষ্টিতে কিছু পাকা বোরো ধান মাটিতে পড়ে গেছে। এছাড়া বৃষ্টিতে বোরোসহ সকল ফসলেরই মঙ্গল হয়েছে।