মোস্তাফিজুর রহমান টিটু/দৈনিক বার্তা : গাজীপুরের কোনাবাড়িস্থ কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রের নিরাপদ হেফাজতী এক কিশোরীকে আশংকাজনক অবস্থায়  সোমবার হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তার নাম আনিকা হক সিরাজী (১৬)। সে মাসুদুল হক সিরাজীর মেয়ে।
গাজীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সুমন চন্দ্র রায় ও বিভিন্ন সূত্র জানায়, গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়িস্থ কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রের নিরাপদ হেফাজতী আনিকা হক সিরাজী (১৬) সোমবার সকাল ১০টার দিকে ২০টি ঘুমের টেবলেট (রিভোটিল) একসঙ্গে খেয়ে ফেলে। এতে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ তাকে চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে দিনভর বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। ইতোমধ্যে সে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বিকেলে তাকে  গাজীপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।  হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারনে দীর্ঘ সময় চিকিৎসা না পাওয়ায় ঘুমের ঔষধ রক্তে মিশে গিয়ে কিশোরীর লিভারের মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে সে এঘটনা ঘটিয়েছে বলে অনিকা হক হাসপাতালে চিকিৎসকদের জানিয়েছে।
কোনাবাড়ি কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক তাসলিমা বেগম জানান, আনিকা হক সিরাজী ঘুমের ট্যাবলেট একসঙ্গে খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তবে ওই কিশোরী কেন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে এবং কোথা থেকে একসঙ্গে এতগুলো টেবলেট পেয়েছে সে ব্যাপারে তিনি কোন কথা বলতে রাজী হন নি।

1
File Photo