2দৈনিক বার্তা : বিএনপি’র সমালোচনা করে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কখনও রোজার ঈদ কখনও কোরবানির ঈদ আবার কখনও বিভিন্ন পরীক্ষার পরে কঠোর আন্দোলন করবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও বাস্তবে তারা আন্দোলনের সামান্যতম  ঢেউ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা জনগণকে সম্পৃক্ত করতে না পারায় অপরাজনীতির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার  চেষ্টা করছে।মঙ্গলবার দুপুরে সাভারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন  খোকার  চোরাগুপ্তা হামলার মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে রাজনীতির ভাষা পরিহার করে অস্ত্রের ভাষায় কথা বলছে। তারা সরকার পতনের জন্য একটি সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় খুন-গুমের মাধ্যমে  দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। গত  সোমবারই  খোকা জাতীয়  প্রেসক্লাবের সামনে এক কর্মসূচিতে সরকারের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের (আওয়ামী লীগ) ভালোর জন্যই বলছি। যদি স্বইচ্ছায় সরে না যান, তাহলে  দেশের মানুষ  চোরাগোপ্তা কর্মসূচির মাধ্যমে আপনাদের নির্মম পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে।

এর আগে গত বছরের অক্টোবরের  শেষে আওয়ামী লীগকে মোকাবেলায় দলীয়  নেতাকর্মীদের দা-কুড়াল নিয়ে প্রস্তুত থাকার কথা বলে সমালোচিত হয়েছিলেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক এ মেয়র।বিএনপি  ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, সরকার এসব বিষয়ে অচিরেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। আমরা ঠাণ্ডা মাথায় তদন্ত করে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।মন্ত্রী বলেন, সরকার ঠাণ্ডা মাথায় কঠোর হাতে এসব দমন করবে।

স্থানীয় বিআরটিএ কার্যালয়ে মন্ত্রীর আগমনের সময় তার সামনেই দালালরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় মন্ত্রী হাতেনাতে একজনকে আটক করেন। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

মন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী নয় বরং দালালরাই স্থানীয় বিআরটিএ’র  গোটা ব্যবস্থাপনা এমনকি কম্পিউটার সার্ভার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা ইচ্ছেমতো  সেখানকার তথ্যও মুছে দিচ্ছে বলে জানান তিনি।পরে  সেখানে অভিযান চালিয়ে মন্ত্রী এক পরিদর্শকে কারণ দর্শানো  নোটিশ ও একজন অফিস সহকারীকে শাস্তিমূলক বদলির আদেশ  দেন।

এর আগে মন্ত্রী ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে থাকা হাট-বাজার পরিদর্শন করেন ও দ্রুত অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে  নেবার নির্দেশ  দেন।

এছাড়াও সাভার উপজেলা বিআরটিএ অফিস পরিদর্শন করে যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, সাভার গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হওয়ায় এখানকার জনগণের সুবিধার্থে একটি বিআরটিএর অফিস করা হলেও তা বর্তমানে দুর্নীতির আখড়া ও দালালদের স্বগরাজ্যে পরিণত হয়েছে। দালালরা সমাজের শত্র“, জনগণের দুশমন।

এখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়াই শুধু একজন অফিস সহকারীর মাধ্যমে অফিসটি পরিচালনা করায় বিআরটিএ এর পরিদর্শক শওকত ইকবালসহ দুইজনকে বরখাস্ত ও আরিফ, সবুজ, শিপলু, আজম ও বিল্লাল নামে কয়েকজন দালালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।এর আগে মন্ত্রী সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের যানজট নিরসনে সাভার সিটি  সেন্টারের সামনে ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণের  যে ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করা হয়েছিল তা ঘুরে  দেখেন এবং ব্রিজটি নির্মাণের জন্য  বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ  দেন।