1দৈনিক বার্তা : লক্ষ্মীপুরে গত ছয় মাসে বিএনপি-জামায়াতের ১৬ নেতাকর্মীকে খুন ও ছয়জনকে গুম করা হয়েছে। গুম হওয়া ছয়জনের এখনো খোঁজ মেলেনি। এরমধ্যে একজন ইউপি  চেয়ারম্যানও রয়েছেন।গুম-খুনের বিচার দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয়  প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন লক্ষ্মীপুর  জেলা বিএনপি সভাপতি আবুল খায়ের ভূইয়া। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক  মো. শাহজাহান। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা শহীদ উদ্দীন  চৌধুরী এ্যানী।

খুন হওয়া  নেতারা হলেন- জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শামসুল ইসলাম সোলায়মান,বিএনপি নেতা ফরহাদ হোসেন,বাবর  হোসেন, কামাল উদ্দিন, মো.সেলিম, লাহারকান্দি ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি  মো. মাহবুব আলম, লক্ষ্মীপুর  পৌরসভার যুবদল কর্মী সুমন, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার শিবিরকর্মী শিহাব, হরিপদ দেবনাথ, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. ফয়েজ আহম্মদ, দিঘুলি ইউপি বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবুল, দিঘুলি ইউনিয়ন বিএনপি  নেতা আবদুল মান্নান, বশিকপুরের যুবদল কর্মী সুমন, রামগঞ্জ উপজেলার শিবিরকর্মী শাহাদাৎ হোসেন রুবেল, জেলা যুবদল কর্মী দিদার ও চন্দ্রগঞ্জের আবুল হোসেন।

অন্যদিকে গুম হওয়া  নেতারা হলেন- জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ জুয়েল, দিঘুলি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বেলাল  হোসেন, কুমিল্লা  থেকে গুম লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদল কর্মী আলমগীর  হোসেন ও রাজু, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে গুম হাজীরপাড়া ইউপি  চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ও রামগঞ্জের মো. আবদুল কাদের।

২০০৯ সালের জুলাইয়ের ২৭ তারিখ রামগঞ্জের মো. আবদুল কাদের গুম হন। বাকিরা ২০১৪ এবং ২০১৩ সালে গুম হন।এদের কারোরই  খোঁজ মেলেনি এখনো।

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক এমপি  মো. শাহজাহান বলেন, খুন হওয়াদের পরিবারে যেমনি  শোক বিরাজ করছে। উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবার আজ অসহায়।  তেমনি গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারে বিরাজ করছে আতঙ্ক। কখন না লাশের দেখা মেলে।

এমন আতঙ্ক নিয়ে লক্ষ্মীপুরে বসবাস করছেন বিরোধী মতের রাজনৈতিক কর্মীরা।বাইরে পা ফেলতে তো সাহস পাচ্ছেন না তারা। বরং ঘরের মধ্যেও নিজেদের নিরাপদ মনে করছেন না তারা।

সাবেক এমপি আবুল খায়ের ভূইয়া বলেন, বিরোধী মতকে গুম-খুন করে রুখে দেয়া যাবে না। যতবেশি গুম-খুন হবে ততবেশি আন্দোলনও জোরদার হবে।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপি-জামায়াতের যে সকল নেতা-কর্মী প্রাণ হারালেন তাদের রক্ত বৃথা যাবে না। জনগণের এর বদলা নেবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ভিপি হারুন,  স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউল বারী বাবু, লক্ষ্মীপুর সদর পশ্চিম বিএনপির সভাপতি আবদুল করিম ভূইয়া মিজান, পূর্ব সভাপতি মাইন উদ্দিন  চৌধুরী রিয়াজ প্রমুখ।