1সাদি/দৈনিক বার্তা : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এক শিশুকে অপরহরনের পর তার কিডনী কেটে পাচার ও হত্যার  অভিযোগ স্বীকার করেছে পাচারকারী চক্রের অন্যতম সদস্য খলিল মিয়া। রোববার পুলিশের হাতে আটকের পর আজ দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় সে এ চাঞ্চল্যকর জবানবন্দী দেন। আদালতে দেয়ার তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, ১০ লাখ টাকায় কিডনী বিক্রির জন্য শিশুটিকে তারা ৪জন মিলে অপহরণ করে। শিশুটির কিডনি সংগ্রহের পর শিশুটির লাশ তারা একটি ডোবার কচুরীপানার নিচে ফেলে রাখে। গ্রেপ্তারকৃত খলিল মিয়া উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের তরফবাড়িয়া গ্রামের কালু প্রমানিকের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত ২২ এপ্রিল বিকেলে উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নানের ৬ বছর বয়সী ছেলে শিশু হারুন নিখোজ হয়। ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় পাশ্ববর্তী ফইলার বিলের একটি ডোবার কচুরীপানার নিচ থেকে কিডনী বিহীন অবস্থায় শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা আব্দুল হান্নান একই গ্রামের ৩জনকে সন্দেহজাজন আসামী দিয়ে থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে যাবার সময় ২৭ এপ্রিল রাতে একই উপজেলার কন্তুইল এলাকা থেকে খলিলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ আজ সোমবার দুপুরে তাকে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে খলিল স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দেয়। আদালতের বিচারক কোহিনুর আরজুমান ১৬৪ ধারা মতে এই জবানবন্দী গ্রহন করেন।
জবানবন্দিতে খলিল জানান, ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় একই গ্রামের পাচার চক্রের অপর ৩ সদস্য চাদ আলী, আব্দুল মতিন ও দেলোয়ার হোসেন চেতনানাশক পদার্থ দিয়ে শিশু হারুনকে অজ্ঞান করে একটি বস্তায় ভরে নিয়ে যায়। এদিন রাত ২টার দিকে একই উপজেলার উধুনিয়া ব্রীজের নিচে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়ার পর আগ থেকেই সেখানে আরও ৩জন অপেক্ষা করছিল।  তারা সকলেই ঢাকার সাভার থেকে এসেছিল বলে তিনি জানান। এদের মধ্যে একজন ডাক্তারও ছিলেন। শিশুটিকে সেখানে পৌছানোর পর ব্রীজের নিচে শিশুটির ২টি কিডনী কেটে স্যালাইনের প্যাকেটে ভরে তারা মটর সাইকেলে করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। তবে তিনি তাদের ঠিকানা সঠিকভাবে জানাতে পারেনি। জবানবন্দি শেষে আদালতের নিদের্শে খলিলকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

1
File Photo