2দৈনিক বার্তা :  হত্যা, গুম, অপহরণের আতঙ্ক  থেকে  দেশবাসীকে রক্ষার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন।মঙ্গলবার দুপুরে বার কাউন্সিল ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দেশজুড়ে হত্যা, গুম ও অপহরণের আতঙ্ক চলছে। ২০১০-১৪ সালের মধ্যে প্রায় ৩০০ ব্যক্তি হত্যা, গুম ও অপহরণের শিকার হয়েছেন বলে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাস  থেকে ২০১৪ সালের  ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত র‌্যাব ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায়  ২৭২ জন বিরোধী দলের  নেতাকর্মী খুন, ২৫ জন গুম এবং ২৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।এ গুম, হত্যা, অপহরণ হতে শুধু বিরোধী দলের  নেতাকর্মীরাই নয়, আইনজীবী ও সাধারণ মানুষও এর শিকার হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন,গত রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার সরকারকে অপহরণ করা হয়।

তিনি আরো বলেন, অবস্থা দেখে মনে হয়,  দেশজুড়ে আজ ফ্যাসিবাদের সরকার কায়েম হয়েছে। এখানে বিরোধীদলসহ কোনো নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা নাই। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশে এক ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হবে এবং তার অশুভ পরিণতি আমাদের সবাইকে ভোগ করতে হবে।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বার কাউন্সিলের সদস্য ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন  খোকন ও অ্যাডভোকেট  গোলাম  মোস্তফা খান।

এদিকে, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আগামী ৮ মে প্রসিকিউশনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর  চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের  নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ দিন নির্ধারণ করেন।

এর আগে জারি করা শোকজ  নোটিসের বিষয়ে বিবাদীপক্ষের শুনানি সকালে  শেষ হয়েছে। খন্দকার মাহবুব হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।

এদিকে,প্রসিকউটর জেয়াদ আল মালুমের শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে সময়ের আবেদন জানান প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল। পরে আদালত ৮  মে প্রসিকিউশনের শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।

উল্লেখ্য,গত বছরের ১ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের  চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ  দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

রায়ের পর সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে খন্দকার মাহবুব বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তি যদি ক্ষমতায় আসে সত্যিকার অর্থে যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের বিচার হবে। আর যারা এ প্রহসনের বিচারে সম্পৃক্ত ছিলেন ইনশাআল্লাহ বাংলার মাটিতে তাদেরও বিচার হবে।

এনিয়ে ৬ অক্টোবর খন্দকার মাহবুবের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিস জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। নোটিসে  কেন তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না? তা জানতে চেয়ে ২১ অক্টোবরের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছিল।পরে চার সপ্তাহের সময় নিয়ে ১৯ নভেম্বর  শোকজ নোটিসের জবাব দাখিল করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।