2দৈনিক বার্তা : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় ক্ষোভে-বিক্ষোভে উত্তাল নারায়ণগঞ্জ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নারায়ণগঞ্জে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
অপহৃতদের লাশ উদ্ধারের পর দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে এলাকাবাসী। এতে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নারায়ণগঞ্জে বৃহস্পতিবার সকালে দুইশ বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ২৭ এপ্রিল অপহরণের পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন নারায়ণগঞ্জবাসী। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর প্রতিদিনই চলতে থাকে বিক্ষোভ।
বুধবার কাউন্সিলর নজরুল ও তার সহযোগীদের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়েই বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে নজরুলের স্বজন ও সিদ্ধিরগঞ্জবাসী। এসময় তারা মহাসড়কে সিমেন্টের খুঁটি ফেলে ১০-১৫টি স্পটে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে যানবাহনে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এতে করে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নজরুল ইসলামের সমর্থকেরা সকালে আবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। এতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাঁরা খুনিদের বিচার দাবি করছেন।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মনোজ কান্তি বড়াল জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আজ সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জে বিজিবির ২০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে গত রোববার একসঙ্গে সাত ব্যক্তি অপহূত হন। তাঁরা হলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তাঁর বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ইব্রাহিম। গতকাল দুপুরে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে আরো একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের গাড়িচালক জাহাঙ্গীরের বলে ধারণা করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকা সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশটি ভেসে উঠে।