11 দৈনিক বার্তা : অপহরণ রোধে অ্যান্টি-কিডন্যাপিং স্কোয়াড গঠন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।ইদানীং ব্যাপকহারে অপহরণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ  স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে।অপহরণের ঘটনা বেড়ে যাওয়া  প্রেক্ষাপটে এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে বিশেষ একটি দল গঠন করে ঢাকা মহানগর  গোয়েন্দা পুলিশ।

শনিবার দুপুর  পৌনে একটায় ডিএমপির মিডিয়া  সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মহানগর  গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে, এ  স্কোয়াড কাজ শরু করেছে। এ  স্কোয়াডে ৪০ জন বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার  হোসেনকে প্রধান করে গঠিত এই দলে দুজন সহকারী পুলিশ কমিশনার থাকছেন।মিন্টো  রোডে  গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম বলেন, অপহরণ পূর্ববর্তী কার্যক্রম এবং সব ধরনের সহযোগিতা এই দল  থেকে পাওয়া যাবে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, অপহরণ  রোধ, অপহরণে জড়িত আসামিদের  গ্রেপ্তারে এই  স্কোয়াড কাজ করবে। এ ছাড়া জামিনে ছাড়া পাওয়া আসামিদেরও নজরদারিতে রাখবে  স্কোয়াড।এই  স্কোয়াডে সার্বক্ষণিক  যোগাযোগের জন্য ২৪ ঘণ্টা হটলাইন চালু থাকবে।

চারটি নম্বরেযোগাযোগ করা যাবে।নম্বরগুলো হলো:০১৭১৩৩৯৮৩২৭, ০১৭১৩৩৯৮৬১৯, ০১৭১৩৩৭৩২১৪, ০১৭১৩৩৭৩২১৬।স্কোয়াডেরসদস্যসংখ্যা ৪০।

এর প্রধান একজন অতিরিক্ত উপকমিশনার।অপহরণকারীদের সম্পর্কে  কোনো তথ্য থাকলে এই স্কোয়াডে তা জানাতে বলা হয়েছে। তথ্যদাতাদের পরিচয়  গোপন রাখা হবে বলে জানান ডিএমপির মুখপাত্র।অপহরণের কয়েকটি ঘটনা এর আগে ঘটলেও নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে তুলে নিয়ে হত্যার পর নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

অপহরণ  ঠেকাতে রাজধানীরসহ  দেশের বিভিন্ন শহরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।অপহরণ  ঠেকাতে মাইক্রোবাসে রঙিন কাচও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

রাজধানী ও টঙ্গীসহ কয়েকটি স্থানের অপহরণকারী চক্রের সাথে কাজ করছে ৫/৭ জন নারী। তারা বিভিন্নভাবে অপহৃত ব্যক্তিদের অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের হাতে তুলে দিচ্ছে। আর এসব অপহরণে নারীদের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা  মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিবি) জয়েন্ট কমিশনার  মো. মনিরুল ইসলাম।

মনিরুল ইসলাম বলেন,মোটর পার্টস ব্যবসায়ী এম.এ হাকিমকে নিশি নামে এক নারী ভুলিয়ে-ভালিয়ে অপহরণকারীদের হাতে তুলে  দেয়। পরবর্তীতে তাকে জুড়াইনের একটি বাসায় আটকে রাখা হয়। পরে তার ছবি তোলা হয়। এরকম ঘটনা আগেও ঘটিয়েছে তারা। সাধারণত তারা কিছু টাকা পায় এবং মুক্তিপণের টাকার একটি অংশও  পেয়ে থাকে। এ ধরনের অপহরণকারী চক্রের নারী সদস্য নুরজাহানকে  গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার স্বামী ইউনুছ আলীকে  গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।তিনি বলেন, এ চক্রের সদস্যরা উচ্চবিত্ত ও টাকাওয়ালা মানুষকে খুঁজে  বের করে তার সাথে বিভিন্ন উপায়ে সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে। পরে যাদের টাকা-পয়সা রয়েছে বা দুর্বলতা রয়েছে- তাদেরকে জিম্মি করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে  নেয় বলে জানান তিনি।

প্রেস ব্রিফিংয়ে ছিলেন- উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি, দক্ষিণ)কৃষ্ণপদ রায়,উপ-পুলিশ কমিশনার (লালবাগ বিভাগ)  মো. হারুন-অর-রশীদসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।