দৈনিক বার্তা : ঢাকা, ৫ মে ২০১৪ : আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ খুন-গুমের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেশবাসীকে আহবান জানাবো, হত্যা-খুন ও গুমের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সকল অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।’ হাছান মাহমুদ আজ সোমবার সেগুনবগিচাস্থ বীর উত্তম খাজা নিজামুদ্দিন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা হাজী মো. সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় জাসদ নেতা মীর হোসেন আক্তার, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা কামরুল আহসান, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুণ চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিদেশীদের কাছে দেশের ভারমুর্তি নষ্ট করার জন্য, বিএনপি হত্যা গুমের রাজনীতি করেছে এমন অভিযোগ করে হাছান মাহমুদ বলেন, গত এক বছর ধরে বিএনপি সারাদেশের নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে, কোন ফয়দা লুটতে পারেনি। তাই তারা এখন খুন গুমের রাজনীতি শুরু করছে। তারা আসলে বিদেশীদের কাছে দেশের ভারমুর্তি নষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে সাদেক হোসেন খোকা বলেছেন, চোরাগুপ্তা হামলা করতে হবে। তার এই কথার এক সপ্তাহের মধ্যে নারায়নগঞ্জের গুমের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় যারা নিহত হয়েছে তারা অধিকাংশই আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য। এই ঘটনার পর আর বুঝতে বাকি নেই যে কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, যারাই ঘটনার সাথে জড়িত থাক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যদি খুন-গুমের ঘটনার সাথে জড়িত থাকে তাহলে তাদেরকেও ছাড় দেওয়া হবে না।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আলোচনার বসার আহবান প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আলোচনা হতে পারে তবে তার আগে ১৯ দলীয় জোটকে নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। বেগম জিয়াকে ১৫ আগষ্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তবেই দেশকে কিভাবে উন্নয়ন অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনা হবে না। ৫ বছর পর সংবিধান অনুযায়ি নির্বাচন হবে। বিএনপির অনশনের দিন প্রেসক্লাবের আশেপাশের খাবার দোকানগুলোতে ব্যবসা ভাল হয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতারা অনশন পালন করেছেন। আর খালেদা জিয়া খাওয়া দাওয়া সেরে বিকেল সাড়ে ৪ টায় তাদের অনশন ভাঙাতে এসেছেন। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, প্রেসক্লাবের আশপাশের খাবর দোকান গুলোতে কাল অন্য দিনের চেয়ে ব্যবসা ভাল হয়েছে। হাছান মাহমুদ বলেন, কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়া সাংগঠনিক রেড এলার্ট জারি করেছেন।আমি বলব, আপনার দলের লাল বাতি অনেক আগেই জলে গেছে। এখন আর রেড এলার্ট আর গ্রীণ এলার্ট জারি করে আপনার দল ও জোটকে রক্ষা করতে পারবেন না।
বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যখন এরশাদের কাছ থেকে সম্পত্তি নেন তখন সে প্রিয় দেবর হয়। আজ আপনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়ায় সে আপনার স্বামীর হত্যা কারী হয়ে গেল। আপনাকে মনে রাখতে হবে এরশাদের আমলে ১০১টাকা নাম মূল্যে তার কাছ থেকে গুলশানের সবচেয়ে বড় বাড়িটি লিখে নিয়েছিলেন।