4তিন মাস আগে ঢাকার মিরপুর থেকে অপহৃত সুবর্ণার লাশ জয়পুরহাটের আদর্শপাড়ার একটি সেফটিক ট্যাংক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। মিরপুর থানায় দায়ের করা মামলার সূত্র ধরে গ্রেফতারকৃত আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গতকাল দুপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সিনিয়র সহকারী কমিশনার মুক্তা ধরের নেতৃতে জয়পুরহাটের আদর্শপাড়ার নিহত সুবর্ণার শ্বশুরবাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, সুবর্ণাকে তার খালাতো ভাই জয়পুরহাটের আদর্শপাড়ার আলী হাসান পলাশ গোপনে কোর্ট ম্যারেজ করে। বিয়ের ঘটনা জানাজানির পর গত ৩০ জানুয়ারি ঢাকার পীরেরবাগ ৭৫/১ বাড়ি থেকে জয়পুরহাটে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আসার কথা বলে পলাশ সুবর্ণাকে নিয়ে আসেন এবং তারপর থেকে সুবর্ণা নিখোঁজ হয়। সুবর্ণাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে সুবর্ণার মা সালমা ইসলাম বাদী হয়ে পলাশসহ তার পরিবারের ৯ জনকে আসামি করে ঢাকার মিরপুর মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পরে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের সহযোগিতায় গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সেলিনা পারভীন মামলাটি তদন্ত করে ৫ মে পলাশের বোন শিউলিকে জয়পুরহাট থেকে গ্রেফতার করে। এরপর পলাশের মা রহিমা বেগম, বাবা আরমান আলী ও শিউলীর স্বামী বকুলকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ডিএমপি পুলিশ জয়পুরহাট থানা পুলিশের সহযোগিতায় জয়পুরহাট সরকারি কলেজের পিছনে আদর্শপাড়ায় সুবর্ণার শ্বশুরবাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত সুবর্ণার বোন তানিয়া জানায়, ৩০ জানুয়ারি সুবর্ণাকে তার স্বামী ও শাশুড়ি ঢাকা থেকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে সে নিখোঁজ হয়। নিহত সুবর্ণার শাশুড়ি মামলার আসামি রহিমা বেগম জানায়, তার ছেলেরাই সুবর্ণাকে মেরে ফেলেছে। ডিএমপির সিনিয়র সহকারী কমিশনার মুক্তা ধর জানান, মিরপুর থানার মামলা অনুযায়ী ৯ আসামির মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জয়পুরহাট থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি। সুবর্ণার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত সুবর্ণা ঢাকার মিরপুর-১২ এর মৃত হান্নান শেখের মেয়ে ও জয়পুরহাট আদর্শপাড়ার আলী হাসান পলাশের স্ত্রী ছিলেন।