1দৈনিক বার্তা :  খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন,আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতেই নারায়ণগঞ্জে যাওয়ার জন্য  গোঁ ধরেছেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি হবে। এ ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই। কিন্তু বেগম জিয়া এ ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন। এ থেকেই প্রমাণিত হয় তিনি সুস্থ নন। কারণ  কোনো সুস্থ রাজনীতিবিদ এ কাজ করার  চেষ্টা করে না।

নারায়ণগঞ্জের মাঠ উত্তপ্ত না করার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন,আগামী ১৪ মে খালেদা জিয়ার নারায়ণগঞ্জে যাওয়ার কথা রয়েছে।এমনিতেই নারায়ণগঞ্জ উত্তপ্ত। আর তিনি সেখানে গিয়ে এটা নিয়ে রাজনীতি করবেন। এটা সৎ রাজনীতির মানসিকতা হতে পারে না।খালেদা জিয়ার এ ধরনের চিন্তার পরিবর্তন ঘটানোর আহ্বান জানান তিনি।

কামরুল বলেন, নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন বেগম জিয়াকে সমাবেশ করার অনুমতি  দেয়নি। এরপরও তিনি ১৪ মে নারায়ণগঞ্জে যাওয়ার  গোঁ ধরেছেন। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর জন্যই তিনি এমন  গোঁ ধরেছেন।কামরুল বলেন, নারায়ণগঞ্জের অপরাধীদের শাস্তি  পেতেই হবে। এটা নিয়ে রাজনীতির কোনো অবকাশ নেই।

যারা র‌্যাব বিলুপ্তির কথা বলে তারা জঙ্গিবাদের  দোসর বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। র‌্যাবের সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস আর অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দমনে র‌্যাবের অনেক অবদান রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ঘটনার সঙ্গে যে তিনজন র‌্যাব সদস্য জড়িত তাদের বিচার করা হবে।

কামরুল বলেন, কেউ ফেরেশতা নয়।একটি বাহিনীতে দুষ্ট লোক থাকতেই পারে। তাই বলে পুরো বাহিনী বিলুপ্ত করা যায় না। র‌্যাবের মধ্যে যারা খারাপ তাদের বিচার হচ্ছে। এ জন্য র‌্যাব বিলুপ্ত করা যায় না।র‌্যাব বিলুপ্তি নিয়ে বিএনপি-জামায়াত ও সুশীল সমাজকে রাজনীতি না করার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, র‌্যাব নিয়ে রাজনীতি করবেন না। র‌্যাব নিয়ে যারা রাজনীতি করে তারা জঙ্গিবাদের দোসর।

নারায়ণগঞ্জের ঘটনা তদন্তে বিএনপি-সুশীল সমাজ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে অভিযোগ করে কামরুল বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় বিএনপি ও সুশীল সমাজ তদন্ত বাধাগ্রস্তসহ  দেশকে অস্থিতিশীল করার রাজনীতি শুরু করেছেন। বিভিন্ন মুখরোচক কথা বলে তদন্ত বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।এ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়াতে তাদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তদন্ত চলছে। অপরাধীরা যত শক্তিশালী হোক, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

নারায়ণগঞ্জ ঘটনা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের কৌশল খুঁজছে অভিযোগ করে মন্ত্রী বলেন, নতুন কোনো কৌশল খুঁজে লাভ হবে না। আন্দোলন করতে হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে করুন। বিভ্রান্তি ছড়িয়ে আন্দোলনের কোনো সুযোগ পাবেন না।

তিনি  দেশের আলেম সমাজকে উদ্দেশ্য করে বলেন,এক শ্রেণীর আলেম নামধারী ব্যক্তি এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিলেন। কিন্তু সত্যিকারের আলেমরা সব সময়ই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন। আজকে আমরা ৭১’এর ঘাতকদের যে বিচার করছি তাও ইসলামের হুকুমেই।

বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির আহ্বায়ক মওলানা ইসমাইল  হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা-২০ আসনের এমপি এমএ মালেক ও ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির সদস্য সচিব মওলানা তাহেরুল ইসলাম।গত ১ মার্চ দলটি যাত্রা শুরু করে। শনিবার ঢাকা  জেলার কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে এখন পর্যন্ত দলটির ৩০টি জেলার কমিটি গঠন করা হয়েছে।  ৮১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির আহ্বায়ক মুফতি জসীমউদ্দিন।