1দৈনিক বার্তা :  তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন,মহাজোট সরকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় মহাজোট সরকারের কতিপয় কুলাঙ্গার জড়িত।

শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী  চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘এট্রোসিটিজ অন মাইনোরিটিজ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থেও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মানবাধিকার কমিশনের  চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত  সেনগুপ্ত, আওয়ামী লীগের  প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরে আলম  লেলিন এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, জাতীয় পার্টির   প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর পরিকল্পিত হামলা করা হয়েছে। একটি মহল রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে সংখ্যালঘুদের ওপর এ হামলা করেছে।তিনি বলেন, এ হামলার সাথে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের ইন্ধন রয়েছে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্ েসংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংখ্যালঘুদের উপর পরিকল্পিত হামলা করা হয়েছে। একটি মহল রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে সংখ্যালঘুদের উপর এই হামলা করে ।তিনি বলেন, এই হামলার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত শিবিরের ইন্ধন রয়েছে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করেছে।

নারায়ণগঞ্জে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে অচিরেই তার রহস্য উন্মোচিত হবে এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ।

তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা  কোনো ব্যক্তি যদি জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর। এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ  নেই বলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান।

বিএনপি’র প্রতি অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিএনপি’র এক সিনিয়র  নেতা  চোরাগুপ্তা হামলার কথা বলার পর  থেকে দেশে গুম খুন অপহরণ বেড়ে গেছে। সুতরাং এ সবের দায় বিএনপি এড়াতে পারে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ইনু আরো বলেন, বিএনপি দেশে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির
সংবিধানের শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম রাখা সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী বলে মন্তব্য করেন সম্মিলিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাওলানা জিয়াউল হাসান।তিনি বলেছেন, এর পরিবর্তে সংবিধানের শুরুতে পরম করুণাময়ের নামে শুরু করছি কথাটি সংযোজন করতে হবে।

জিয়াউল হাসান বলেন, কতিপয় জামায়াত-শিবির জঙ্গীবাদী নেতাদের খুশি রাখার জন্য রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখার  কোনো প্রয়োজন  নেই। মদিনার সনদে এরকম কোনো কিছু উল্লেখ নেই। সংবিধান হবে সর্বজনবিদিত। এখানে কোনো ধর্মের প্রাধান্য থাকবে না।