1দৈনিক বার্তা :নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা জড়িত বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।সরকার এই ঘটনাকে ধামাচাপা  দেয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, অব্যাহত এই খুন-গুমের ঘটনার দায় স্বীকার করে সরকারকে পদত্যাগের আহবানও জানান মির্জা ফখরুল।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শেরে বাংলানগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। সদ্য জামিনে কারামুক্ত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে যান। সেখানেই মির্জা ফখরুল ছিলেন প্রধান অতিথি।

ফখরুল বলেন, সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের সঙ্গে জড়িত। এটা এখন পরিষ্কার। তাদের একজনের জামাইকে চাকরি থেকে অপসারণ করায় এটা প্রমাণ করে।গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন।

এর দুদিনের মাথায় র‌্যাব-১১ এর  সে সময়ের অধিনায়ক  লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদ,  মেজর আরিফ হোসেন এবং  লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমএম রানাকে অকালীন এবং বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়।সরিয়ে  দেয়া হয় নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ কয়েক কর্মকর্তাকে।চাকরিচ্যুত তারেক সাঈদ  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী  মোফাজ্জল হোসেন  চৌধুরী মায়ার জামাতা।

ফখরুল অভিযোগ করে বলেন,শীতলক্ষ্যা এখন গুমের নদী। এখানে গুম খুন করে মানুষকে  ফেলে দেয়া হচ্ছে। কাউকে পাওয়া যাচ্ছে। কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।

ফখরুল বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা জড়িত। তাই  সেদিকেই আগে তদন্ত করতে হবে। কোনো স্বজনপ্রীতি না করে এ ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিচার করতে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

ফখরুল বলেন, শুধু নারায়ণগঞ্জে নয়, সারাদেশে খুন, গুম, অপহরণ ঘটনার দায় নিয়ে এ সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনা জনসম্মুখে এসে  গেছে। সরকার তাই এটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছে।ফখরুল বলেন, জনগণ এখন এই সরকারের কোনো কথাই বিশ্বাস করে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, সারাদেশে অব্যাহত এই খুন, গুম, অপহরণ জাতিসংঘের নীতিবহির্ভূত এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স। যা মানবতাবিরোধী অপরাধ। এর জন্য সরকারকে দায়ী থাকতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের (বিএনপি) সমালোচনায় আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্য সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। খুন, গুমের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে আমরা  কোনো রাজনীতি করছি না। সরকারই বরং এসব ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নানা কিছু করে।

এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, নাজিমুদ্দিন আলম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহিদ উদ্দিন  চৌধুরী এ্যানি, সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু,  স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউল বারী বাবু, ছাত্রদল সভাপতি আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের  নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।