গাজীপুরে ট্রাক চাপায় পুলিশ কন্সটেবল এক জন নিহত ও দু’জন আহত ॥ এক হেলপারসহ দু’ট্রাক আটক ॥

মোস্তাফিজুর রহমান টিটু/দৈনিক বার্তা — গাজীপুরে দূর্ঘটনা কবলিত ট্রাকের চাপায় টহল পুলিশের কন্সটেবল এক জন নিহত ও অপর দু’জন আহত হয়েছে। এঘটনায় এক হেলপারসহ দু’টি ট্রাক পুলিশ আটক করেছে। নিহতের নাম ইসমাইল হোসেন (২২)। সে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার অনন্তমূছা গ্রামের দিল মোহাম্মদের ছেলে। দূর্ঘটনায় হতাহতরা সবাই রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) কন্সটেবল।
জয়দেবপুর থানাধীন ভোগড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই একরামুল হক ও স্থানীয়রা জানায়, গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া বাইপাস সড়ক এলাকায় ভোগড়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. মোতালিবের নেতৃত্বে পুলিশের ৬ সদস্যের একটি দল রবিবার দিবাগত রাতে আইন শৃঙ্খলার ডিউটিতে টহল দিচ্ছিল। সোমবার ভোররাত দু’টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস চৌরাস্তা মোড়ে বেপরোয়া গতির ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে টাঙ্গাইল থেকে আসা কলা ভর্তি অপর একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ময়মনসিংহগামী ট্রাকটি ছিটকে সড়কের ডিভাইডারের উপর উঠে যায় এবং সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনের পুলিশের টহল দলের তিন কন্সটেবল ইসমাইল হোসেন (কং-৩৬৫), শামীম মিয়া (কং-৪১১) ও আন্দুল জাব্বারকে (কং-১০২০) চাপা দেয়। এতে তারা গুরুতর আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত তিন কন্সটেবলকে প্রথমে গাজীপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাদের ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসমাইল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। দূর্ঘটনার কারণে ওই মহাসড়কে প্রায় এক ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে যানবাহন আটকে পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে রেকার এনে দূর্ঘটনা কবলিত ট্রাক দু’টি সড়কের ওপর থেকে সরিয়ে নিলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। দূর্ঘটনায় ট্রাক দু’টি দুমড়ে মুছড়ে যায় এবং চাকাসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুলে গেছে। এঘটনায় পুলিশ ট্রাকের হেলপারসহ ট্রাক দু’টি আটক করেছে। আটক হেলপার টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে। হতাহত ওই তিন জন রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) কন্সটেবল। এদের বয়স ২২ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
জয়দেবপুর থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামান জানান, এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সোমবার জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে। ট্রাক দু’টি বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারনেই এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতের লাশ দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ি পাঠানো হচ্ছে।