1দৈনিক বার্তা — বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন,শেখ হাসিনা ভারতের কংগ্রেস পার্টির বাংলাদেশ শাখার সভাপতি। তিনি বলেন, ভারতের নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ খুবই উদ্বিগ্ন।এ দেশের হিন্দুরা চায় না হিন্দুত্ববাদী মোদী ক্ষমতায় আসুক। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা তাকে ক্ষমতায় চায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় তিন  সেনা সদস্যকেই শুধু নয়, প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনাকে  গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এতেই গুম-খুন-অপহরণ বন্ধ হবে বলে দাবি করেন তিনি।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল আয়োজিত অপহরণ-গুম-হত্যা, নির্যাতন-রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা: আতঙ্কিত কর্মজীবী সমাজ’ শীর্ষক এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় তিন সেনা কর্মকর্তাকে  গ্রেফতারের নির্দেশ প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, মহামান্য আদালত সাহস যখন  দেখিয়েছেন,আরও একটু সাহস যদি  দেখান ভালো হয়। তিনজনকে  গ্রেফতার নয়, শুধু একজন, প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনাকে  গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারলে খুন, গুম সব বন্ধ হয়ে যেত।থাইল্যান্ডে ইংলাক সিনাওয়াত্রার প্রতি আদালতের  যেমন নির্দেশ,  তেমন নির্দেশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিও দিতে  দেশের আদালতের প্রতি আহবান জানান গয়েশ্বর।

গয়েশ্বর বলেন,মহামান্য আদালত নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় যেমন র‌্যাবের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন।তেমনি গণবিচ্ছিন্ন হাসিনাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিলে লাশের সংখ্যা আর বৃদ্ধি  পেতো না। গুম, খুন, হানাহানি বন্ধ হতো। বিচার বিভাগ যতো স্বাধীন হবে  স্বৈরতান্ত্রিক কর্যক্রম ততো হ্রাস পাবে বলেও মনে করেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির এ সদস্য।

গয়েশ্বর বলেন, ভারতের নির্বাচন নিয়ে এখন বাংলাদেশের মানুষ উদগ্রিব। শেখ হাসিনার কারণে  দেশের মানুষের এই সচেতনতা। কারণ সবাই জানে, হাসিনার অন্তর দিল্লিতে পড়ে রয়েছে।

আদালত অবমাননার অভিযোগে আদালতের কাছে নিজের ক্ষমা প্রার্থনা প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, আমি আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইনি। আমি বলেছি, আদালতের পক্ষে বলেছি, তবু আদালত বিব্রত হলে আমি দুঃখিত। কিন্তু বেকুব আইনজীবীরা  সেটা অন্যভাবে বলে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে।

ওয়ান-ইলেভেনে যারা পাশে ছিলেন তারা এখন কোন অবস্থায় আছে,সেটাতে নজর দিতে তিনি বিএনপি  চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।

গয়েশ্বর বলেন,এক কারাগার  থেকে বের হয়ে আরেক কারাগারে এসেছি।এই দেশটাই এখন একটি বুহৎ কারাগার। এই  জেলই  শেষ জেল না, আরও  জেল আছে।

দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর  কোনো কোনো সদস্যের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন,  দেশে  যে বাহিনী, তা কষ্টে সুসজ্জিত বাহিনী। জনগণের কষ্টের টাকায় তাদের অস্ত্র কিনতে হয়। সীমান্তে নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র কিনতে হয়। কিন্তু  সেখানে ফেলানীর লাশ কাঁটাতারে ঝোলে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষীর গুলিতে আমাদের  দেশের মানুষ মারা যায়।

সংগঠনের সভাপতি হাজী  মো: লিটনের সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের  মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ,স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সরাফত আলী সপু প্রমুখ।