1দৈনিক বার্তা — আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিক্ষোভের নামে যদি কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা হয়, তাহলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, জেলায় জেলায় বিক্ষোভের নামে আবারও নতুন করে বিশৃঙ্খলা শুরু করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। বিক্ষোভের নামে যদি কোনো বিশৃঙ্খলা করা হয়, এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।

হাছান মাহমুদসোমবার ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত স্মরণ সভায় এ কথা বলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জামাতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী, বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মরণে এ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের উপদেষ্টা হাজী মো. সেলিম এমপির সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, আওয়ামী লীগ নেতা চিত্তরঞ্জন দাস, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে প্রথম হত্যা-গুমের রাজনতি শুরু হয় জিয়াউর রহমানের আমলে। জিয়াউর রহমানের সময় ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের নেতা মাহফুজ বাবুকে অপহরণ করা হয়। তার লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। যারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, তারা এখন হত্যা-গুমের রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলে।তাদের কথা শুনে মানুষ হাসে। আমাদের লজ্জা হয়। নারায়ণগঞ্জের হত্যা-গুমের সঙ্গে বিএনপি জড়িত। যাদের গুমের পরে হত্যা করা হয়েছে তারা সবাই আওয়ামী পরিবারের সদস্য।

সাবেক মন্ত্রী বলেন, র‌্যাবের বিরুদ্ধে এখনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। যারা পুরো বাহিনীকে বিলুপ্তির পরামর্শ দেন তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক কি না ?

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে যাতে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে, সেজন্য তারা র‌্যাব বিলুপ্তির কথা বলেন। কারণ তারা জঙ্গিবাদের লালন করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম জিয়া আগামীকাল নাকি নারায়ণগঞ্জ যাবেন। নারায়ণগঞ্জের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলবো। যিনি নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছেন তার হাতে রক্তের দাগ। তিনি পেট্রোল বোমা মেরে শত শত মানুষ হত্যা করেছেন।