1দৈনিক বার্তা –বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার র‌্যাব বিলুপ্তির পরামর্শের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, র‌্যাব বিলুপ্তি করলে সমস্যার সমাধান হয় এটা তার (খালেদা) ভ্রান্ত ধারণা,না হয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত বক্তব্য। আমি মনে করি, র‌্যাবের সংস্কার জরুরি।

সোমবার ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত ‘পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুরঞ্জিত এসব কথা বলেন।

সংগঠনের উপদেষ্টা হাজী মো: সেলিম এমপির সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেতা চিত্তরঞ্জন দাস, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুণ চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, বেগম খালেদা জিয়া র‌্যাব বিলুপ্তির কথা বলেছেন, এ র‌্যাবের জন্মদাতা তারাই। ২০০৬ সালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন লন্ডনে বলেছিলেন, র‌্যাবই আমাদের মূল শক্তি।

আওয়ামী লীগের এ প্রবীন নেতা বলেন,তবে র‌্যারের সংস্কার প্রয়োজন। তা হবে আইনগত ও সামাজিক। এর মূল তত্ত্ব হবে, তাদের জাবাবদিহিমূলক অবস্থানে নিতে হবে। তাতে দেশের কল্যাণ হবে। জবাবদিহি ছাড়া যে কেনো প্রতিষ্ঠান ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে।

নারায়ণগঞ্জের ঘটনার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বলেন, এ অমানবিক ঘটনার সত্য উদঘাটন হওয়া রাজনীতির জন্য একান্ত প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর জন্য সকলের সাহায্য ও সহযোগিতা প্রয়োজন। এটা আমাদের জাতীয় জীবনের জন্য অপরিহার্য।

তিনি বলেন, সরকার এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে আন্তরিকভাবে সচেষ্ট। আসামী ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। কিছু ধরা পড়েছে। প্রধান আসামী নূর হোসেন অচিরেই ধরা পড়বে।তিনি বলেন, ইতিমধ্যে এ বিষয়ে  কোর্টও যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। উঠারও কারণ আছে। এ নিয়ে  কোর্ট একটি আদেশ দিয়েছে। এটা সুপ্রিম  কোর্ট দিয়ে স্থগিত করতে হবে, না হয় পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, এই বিলুপ্তির ধারা রাজনীতির জন্য সূখকর নয়।বিডিআর বিলুপ্তি করে বিজিবি করাও আমার মনপূত হয়নি। মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান অনস্বীকার্য।

নারায়ণগঞ্জের ঘটনার প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত  সেনগুপ্ত বলেন, এ নিয়ে সত্য উদঘাটন হওয়া রাজনীতির একান্ত প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।এর জন্য সব মহলের সাহায্য প্রয়োজন। এটা আমাদের জাতীয় জীবনের জন্য অপরিহার্য।তাই নারায়ণগঞ্জের বিষয়ে সত্য উদঘাটনের আহ্বান জানাচ্ছি।

সুরঞ্জিত বলেন, আমি মনে করি আমাদের সরকার এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে আন্তরিকভাবে সচেষ্ট। আসামি ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। কিছু ধরা পড়েছে। প্রধান আসামি নূর হোসেন অচিরেই ধরা পড়বে। সে তো আওয়ামী লীগের মাল না। সে ক্ষমতাসীনদের। সরকারের। ভেজাল মাল নিয়ে হঠাৎ করে শক্তিশালী করার দরকার নেই।

তিনি বলেন, রাজনৈতি দুর্বৃত্তায়নের  যে সংকট  দেখা দিয়েছে। সেটা প্রশাসনসহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এটা একে অপরের প্রতি  দোষ না চাপিয়ে কাটিয়ে উঠার  চেষ্টা করেন।

সংগঠনের উপদেষ্টা ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী  মো.  সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, বঙ্গবন্ধু একাডেমীর আরেক উপদেষ্টা চিত্তরঞ্জন দাস, সাম্যবাদী দলের  নেতা হারুণ  চৌধুরী।