রাজশাহীর বাগমারায় ৪২ বছরেও কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি

নাজিম হাসান/দৈনিক বার্তা —  রাজশাহীর বাগমারায় স্বাধীনতার ৪২ বছরেও কোন কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কল-কারখানা গড়ে না উঠায় এ এলাকায় আশংকজনকহারে বেকারত্ব বাড়ছে। এ এলাকায় বিভিন্ন ধরণের কল-কারখানা গড়ে উঠার উজ্জ্বল সম্ভবনা থাকলেও সরকারের দৃষ্টিপাত না থাকায় আজ পযর্ন্ত শিল্পায়ণ হয়নি। ফলে কৃষির উপর নিভর্রশীল অবহেলিত এ অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন কৃষিপন্য উৎপাদন করে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি কোন কল-কারখানা স্থাপন না হওয়ায় এখানকার শিক্ষিত-অশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বেকার যুবক-যুবতিরা। দারিদ্র্য ও কুসংস্কার এই উপজেলাকে শিক্ষার হার ও পরিবেশকে ব্যাহত করছে। এর পরেও এসব প্রতিকুল পরিবেশের মধ্যে দিয়ে অতি কষ্টে ছেলে-মেয়েদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করার পরও বেকারত্বের যাতাকলে পড়ে তাদের নিস্পোষিত হতে হচ্ছে। বাগমারা উপজেলায় শতকরা প্রায় ৭৫ ভাগ মানুষ দারিদ্রের মধ্যে বসবাস করেন। এ অঞ্চলের বেকার যুবক-যুবতিরা তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে পড়েছে। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে অনেক মা-বাবা তাদের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে সন্তানদের লেখা-পড়া চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তাদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন। এ এলাকার ছেলে-মেয়েরা সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় তাদের জীবন-যাপন করতে হচ্ছে অতি কষ্টে।  তবে এ উপজেলায় কোন কল-কারখানা গড়ে না উঠলেও নতুন করে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কিন্তু মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা মোটা অংকের ডোনেশনের অর্থ দিতে না পারায় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠিানে তাদের চাকুরি হচ্ছে না।  শিক্ষা প্রতিষ্ঠিানগুলো তাদের বিবেচনা রাখেন অর্থ প্রদানকারি অযোগ্য অদক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের। ফলে নিরুপায় হয়ে বেকার মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন সংস্থার শাখা অফিসে চাকুরি করতে বাধ্য হচ্ছে। এক পয্যায়ে স্থানীয় মেধাবী বেকার ছেলে-মেয়েদের দিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করিয়ে সংস্থাগুলো মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাতের আধারে পালিয়ে যায়। মাঝখান থেকে চরম বিপদে পড়তে হয় স্থানীয় ওই শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতিদের। চাকুরি তথা কর্মসংস্থানের সন্ধানে এ উপজেলার মেধাবী বেকার যুবক-যুবতিরা এখন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ অঞ্চলে পাড়ি জমাচ্ছে। অপরদিকে, উপজেলার বেকাররা চাকুরি বা কর্মস্থানের ব্যবস্থা করতে না পেরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। ইতিপূর্বে বেসরকারি উন্নয়ণ সংস্থা যেমন,দেশ, সমাজ উন্নয়ণ কর্মসংস্থান, ফিড্রম উন্নয়ণ কর্মসংস্থানসহ বেশ কিছু সংস্থা উপজেলার মেধাবী যুবক-যুবতিদের চাকুরির প্রলোভন দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। মাঝখানে চরম বিপাকে পড়েছেন ওইসব শিক্ষিত যুবক-যুবতি যারা ওই সকল সংস্থার সাথে জড়িত ছিল। কৃষির উপর নিভর্রশীল অবহেলিত এ অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন কল-কারখানা স্থাপনের দাবি জানিয়ে শিক্ষিত-অশিক্ষিত সমাজ বেকারত্বের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাগমারার  বর্তমান এমপি  ইঞ্জিঃ মোঃ এনামুল হক ও তার আ’লীগ সরকারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা  করেছেন।