দৈনিক বার্তা –দেশের জনগণকে ধূমপানে নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সিগারেটের মূল্য ও কর বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত তামাকবিরোধী জোট।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সম্মিলিত তামাকবিরোধী জোট আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত তামাকবিরোধী জোটের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বাংলাদেশের প্রায় চার কোটি ২৩ লক্ষ মানুষ তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন করেন। তার মধ্যে শতকরা প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষ সিগারেট সেবন করে। প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ মানুষের মধ্যে ৬০ভাগ মানুষ সস্তা মূল্যের সিগারেট সেবন করে। যা আনুমানিক এক কোটি ৭৫ লক্ষ্যের কাছাকাছি। দেশের ধূমপান রোধ করার লক্ষ্যে সরকারকে এখনই সিগারেটের সর্বনিন্ম মূল্য তিন টাকা করা উচিত।
তিনি বলেন, এই বিশাল সিগারেট ভোক্তাদের জন্য দেশী-বিদেশী কোম্পানিগুলো দিন দিন সিগারেট ব্র্যান্ড বাজারজাত করছে। গত পাঁচ বছরে উচ্চ স্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি পেলেও নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি পায়নি। সরকারের এই দ্বিমুখী আচরণ আমাদের বোধগম্য নয়। তবে উচ্চ স্তরের সিগারেটের দাম বাড়লেও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়েনি।
মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, সব সরকার ২০০৩ সালে এফসিটিসিতে স্বাক্ষর করে দেশে ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করেন। ওই সময় তামাকজাত দ্রব্যের ওপর ৭০ শতাংশ করারোপ করার যে নির্দেশনা রয়েছে তা এখনো কার্যকর হয়নি। এতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সস্তা সিগারেটের দাম বেশি হলেও বাংলাদেশে কম।
এসময় বক্তারা দাবি করে বলেন,সিগারেটের সর্বনিম্ন মূল্য তিন টাকা করতে হবে, সিগারেটে ৭০ শতাংশের ওপর কর নির্ধারণ, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, সম্মিলিত তামাকবিরোধী জোট ‘তামাকের ওপর কর বৃদ্ধি শ্লোগান নিয়ে ১৫ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে। যার অংশ হিসেবে আগামী ২১ মে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, জাস্টিস ল,ইয়ার সোসাইটির সেক্রেটারি ব্যরিস্টার ড. এম হায়দার আলী,বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. উত্তম বড়ুয়া, সম্মিলিত তামাকবিরোধী জোটের সাধারণ সম্পাদক তুসার রেহমান প্রমূখ।