1দৈনিক বার্তা — আমাদের দেহকে পরিচালনা করে মস্তিষ্ক৷ দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গই মস্তিষ্কের উপর নির্ভরশীল৷ মস্তিষ্ক সুস্থ থাকলে শরীর এমনই সুস্থ থাকবে৷ কিন্তু সামান্য কিছু ভুলে মস্তিষ্ক অসুস্থ হতে পারে৷ সঠিক খাদ্যাভ্যাস না থাকা, ঘুম কম হওয়া বা অনিদ্রা, অলসতা ইত্যাদির ফলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ব্যহত হতে পারে৷ কিন্তু দেহের সুস্থতার কারণে মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখা প্রয়োজন৷ তাই মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে চাইলে পাঁচটি কাজ অবশ্যই করতে হবে৷

মাছ অনেকেই খান না৷ অনেকের এতে অ্যালার্জিও থাকে৷ কিন্তু মাছ খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেওয়া উচিত নয়৷ কারণ মস্তিষ্কের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার৷ মাছে ওমেগা-৩ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তা প্রায় ১০ শতাংশ বাড়াতে সাহায্য করে৷ তাই সপ্তাহে অন্তত দুই দিন মাছ খান৷

নিয়মিত শরীরচর্চা দেহের পাশাপাশি মস্তিষ্ককেও সুস্থ রাখতে সক্ষম৷ মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কোষ তৈরি কম হয় এবং মস্তিষ্কের আকার ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে৷ নিয়মতি ব্যায়াম আমাদের দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং একই সঙ্গে মস্তিষ্কে নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে৷ এতে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে৷ তাই নিয়মিত শরীরচর্চা একান্ত জরুরী৷

মানুষের দীবন একঘেয়ে হলে মস্তিষ্কও সেই অনুযায়ী গঠিত হয় এবং অন্য চিন্তা করার ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে৷ এতে মস্তিষ্ক অলস হয়ে পড়ে এবং সাধারন চিন্তা করার ক্ষমতা এবং বুদ্ধিমত্তা হ্রাস পেতে শুরু করে৷ তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নতুন কোন কাজ করা উচিত৷ নতুন ধরনের কাজের ফলে মস্তিষ্ক সচল থাকে৷

মানসিক চাপ মস্তিষ্কের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর৷ এই ফলে মস্তিষ্কের নিউরোন এবং কোষ গঠন ধীর গতিতে হয় এবং স্বাভাবিক চিন্তার ক্ষমতা লোপ পেতে থাকে৷ মানসিক চাপের ফলে স্মৃতিশক্তিও কমতে শুরু করে৷ তাই মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন৷

মানুষের জীবনে সমস্যা থাকবেই৷ তার থেকে মানসিক চাপ হতেই পরে৷ কিন্তু তা স্থায়ী হলে মুশকিল৷ তাই মানসিক অবসাদ তাড়াতে মেডিটেশন অত্যন্ত জরুরী৷ প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট মেডিটেশন করলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে৷