narayanganj--bnp--4দৈনিক বার্তা : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন,নারায়ণগঞ্জে অপহরণ ও সাত খুনের ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন নূর হোসেনকে র‌্যাবই দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে।অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন  চেষ্টা চলছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।  সোমবার একটি পত্রিকায় র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসানের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। সেখানে কর্নেল জিয়া বলেন, নূর  হোসেন ঘটনার তিন দিন পর ভারতে পালিয়ে  গেছেন। তিনি এখন কলকাতায় অবস্থান করছেন। কর্নেল জিয়ার এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন।

মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে অপহরণ ও পরে খুন হওয়া জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারের নারায়ণগঞ্জের বাসায় যান খালেদা জিয়া। সেখানে নিহত গাড়িচালক ইব্রাহিমের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন।  সেখানে খালেদা জিয়া নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের সান্ত্বনা  দেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি নিহত নজরুল ইসলামের বাসায় তাঁর স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার তদন্তকাজে সন্দেহ প্রকাশ করে বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া আরও বলেন, একজন মন্ত্রীর জামাতা হয়ে  লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ  মোহাম্মদ (সাত খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার জন্য অভিযুক্ত) নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করেন।আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, খুন-গুম বন্ধে সরকার ব্যর্থ’ হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, না হলে দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। তারাই আপনাদের পতন ঘটাবে।

নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, সরকার র‌্যাব দিয়ে এই খুন করিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী এর দায় এড়াতে পারেন না।

র‌্যাবের বিলুপ্তির দাবি আবার জানিয়ে এই হত্যাকাণ্ডে অভিযোগের মুখে থাকা এই বাহিনীর সাবেক তিন সদস্যের  গ্রেপ্তারও দাবি করেন খালেদা।এই হত্যাকাণ্ডের বিচারে দাবিতে নারায়ণগঞ্জবাসীকে আন্দোলনে নামতে বলার পাশাপাশি সরকারের বিরুদ্ধে  সোচ্চার হতে  দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বিএনপি  চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া  অবিলম্বে র‌্যাব বিলুপ্তির দাবি জানিয়ে বলেছেন, র‌্যাব এখন মানুষ  খেকো, রক্তচোষা হয়ে  গেছে। র‌্যাব যতদিন থাকবে, ততদিন তারা মানুষকে গুম করবে। আওয়ামী লীগ সরকার র‌্যাবকে দলীয় কাজে ব্যবহার করে অহরহ মানুষ ধরে নিয়ে যাচ্ছে, গুম করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। নারায়ণগঞ্জের হত্যাকান্ডের সাথে র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ সরাসরি জড়িত উল্লেখ করে তাকেসহ অন্যদের  গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি। হাইকোর্টের  নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তাদের  গ্রেফতার করা হচ্ছে না এ ব্যাপারেও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

খালেদা জিয়া বলেন, গুম খুন বন্ধ করুন অন্যথায়  দেশের মানুষ এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে। তখন আর কারও কিছু করার থাকবে না।নজরুলের শ্বশুরকে ফোনে হুমকি  দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি নজরুলের পরিবারে  কিছু হয় তাহলে তার পরিণতি ভালো হবে না।

অপহৃত কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনের লাশ উদ্ধারের ১৩ দিন পর মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ যান বিএনপি  চেয়ারপারসন।খালেদাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি বুধবার সমাবেশ করতে চাইলেও সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি না মেলায় একদিন আগে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জ পৌঁছে বেলা ১২টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়ায় কাউন্সিলর নজরুলের বাড়িতে যান খালেদাসহ বিএনপি  নেতারা। সেখানে নজরুলের সঙ্গে নিহত যুবলীগকর্মী মনিরুজ্জামান স্বপন, তার গাড়িচালক জাহাঙ্গীর,  শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির সহসভাপতি তাজুল ইসলাম, যুবলীগকর্মী সিরাজুল ইসলাম লিটনের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন।

নিহতদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেয়ার পর খালেদা র‌্যাবের বিলুপ্তি দাবি করে সাংবাদিকদের বলেন, এ বাহিনী জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। এদের আর প্রয়োজন  নেই।র‌্যাব যতদিন থাকবে ততদিন মানুষের মনে আতঙ্ক থাকবে। মানুষ শান্তিতে থাকবে না।বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে গঠিত র‌্যাবের বিলুপ্তির দাবি খালেদা জিয়া এখন তুললেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা তা নাকচ করেছেন।বিএনপি দাবি করে আসছে, র‌্যাবকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নিহত নজরুল ইসলামের কিশোরী কন্যাকে সান্ত্বনা দিয়ে  বেগম জিয়া বলেন,  ভেঙে পড়ো না। শক্ত হতে হবে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার হতেই হবে। এজন্য আমরা পাশে আছি, পাশে থাকবো।

এসময় একই ঘটনায় নিহত আরও পাঁচ পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেন খালেদা জিয়া।তাদের সান্ত্বনা দিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায়  ভেঙে পড়লে চলবে না।  ৗৈধর্য ধরতে হবে।নিহত নজরুল ইসলামের শ্বশুড় শহীদুল ইসলামের প্রসংশা খালেদা জিয়া বলেন, আপনার সাহসী পদক্ষেপেই এ ঘটনার অনেক সত্য উন্মোচিত হয়েছে।

সাত খুনসহ নারায়ণগঞ্জে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে বিএনপি  চেয়ারপারসন বলেন, এই খুনের বিচার হতেই হবে। খুনিদের বিচারের জন্য নারায়ণগঞ্জবাসীকে আন্দোলনে নামতে হবে।নজরুলের বাড়ি  থেকে  বেলা  পৌনে ১টায় জালকুড়ি বৃষ্টিধারা এলাকায় আইনজীবী চন্দন সরকারের বাসায় যান।  সেখানে তার গাড়িচালক নিহত মো. ইব্রাহিমের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন।খালেদা সেখানে বলেন, অবিলম্বে এই খুনের জড়িত থাকার অভিযোগে চাকরিচ্যুত তিন র‌্যাব কর্মকর্তাকে  গ্রেপ্তার করতে হবে।

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় জড়িতরা  গ্রেফতার না হওয়ায় বিষ্ময় প্রকাশ করে বিএনপি  চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, এ ঘটনার বিচার হতেই হবে। বেগম খালেদা জিয়া বলেন,গুম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এড়াতে পারেন না। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হতেই হবে।তিনি বলেন,অবিলম্বে খুনিদের  গ্রেফতার করা না হলে নারায়ণগঞ্জবাসীকে আন্দোলনে নামতে হবে।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম দাবি করেছেন, সিদ্ধিরগঞ্জের আওয়ামী লীগ  নেতা নূর  হোসেন (পরে অব্যাহতি পাওয়া) র‌্যাবকে ৬  কোটি টাকা দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।তার অভিযোগের পর র‌্যাব-১১ এর তৎকালীন অধিনায়কসহ তিন কর্মকর্তাকে চাকরি  থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সামরিক বাহিনীর এই তিন কর্মকর্তাকে  গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

খালেদা নিহতের স্বজনদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, সরকার এই খুনের বিচার করতে না পারলে বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিচার করবে।সকালে খালেদা নারায়ণগঞ্জ  পৌঁছালে বিএনপির নেতাকর্মীরা ব্যানার নিয়ে সাইনবোর্ড  চৌরঙ্গী ফিলিং স্টেশনের সামনে তাকে স্বাগত জানান।বিএনপি  নেতার আগমনকে  কেন্দ্র করে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তাও জোরদার করে পুলিশ।

বিএনপির  চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, এই বাহিনী এখন জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। এদের আর প্রয়োজন  নেই। র‌্যাব যত দিন থাকবে, তত দিন আতঙ্ক থাকবে। শান্তি থাকবে না। নারায়ণগঞ্জে সেভেন মার্ডারে অভিযুক্ত নূর হোসেনকে র‌্যাবই দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের পর এত সময় পেরিয়ে  গেলেও কেন আসামিরা  গ্রেফতার হয়নি। তাদের  পেছনে কোন শক্তি আছে।  দোষীদের   গ্রেফতার করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা।তিনি বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত নূর  হোসেনকে সঙ্গে র‌্যাবই দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু র‌্যাবের এত ক্ষমতা  কোথায়, যে একজনকে তারা দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিতে পারে?

হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রসঙ্গে খালেদা বলেন, নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার এই পরিবারগুলোর কিছু হলে  দেশে আগুন জ্বলবে। এই অবৈধ সরকার এ বিষয়ে কিছু না করলে সুযোগ  পেলে আমরাই বিচার করবো।র‌্যাবের জড়িতদের বিচার দাবি করে তিনি বলেন,র‌্যাব প্রধানমন্ত্রীর আওতায় নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের আন্ডারে।তাদের এত ক্ষমতা কিভাবে এলো?খালেদা বলেন, আজকের মধ্যে জড়িতদের  গ্রেফতার করতে হবে।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি স্থায়ী কামিটির সদস্য  লে.  জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস  চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, সেলিমা  রহমান, বিএনপি  চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, রুহুল  কবির রিজভী আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, নাজিম উদ্দিন আলম, মহিলা দলের সভানেত্রী শিরিন সুলতানা, যুবদল সভাপতি  মোয়াজ্জেম  হোসেন আলাল, শিক্ষা সম্পাদক খায়রুল কবির  খোকন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন  চৌধুরী এ্যানী, সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল,  সেক্রেটারী হাবিবুর রশিদ হাবিব, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সভাপতি এড.  তৈমুর আলম খন্দকার,  সেক্রেটারি কাজী মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

এর আগে  দেড়টার দিকে জলকুড়ি এলাকায় চন্দন সরকারের বাসায়  পৌঁছান তিনি। এসময় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের  নেতারা উপস্থিত ছিলেন।আবেগ তাড়িত কণ্ঠে নিহত চন্দন সরকারের  মেয়ে সুস্মিতা সরকার বলেন, আমরা আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।এসময় খালেদা জিয়াকে পাশে  পেয়ে কান্নায়  ভেঙে পড়েন নিহতের স্বজনরা।

প্রায় আধ ঘণ্টা খালেদা জিয়া চন্দন সরকারের বাসায় তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান। বেলা সোয়া ১১টার দিকে খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন। পরে দুইটার দিকে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। পথে পথে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে বিএনপি  নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গাড়ি বহর দলীয় কার্যালয় নয়াপল্টন দিয়ে যাওয়ার সময় হাজারো  নেতাকর্মী তাকে শুভেচ্ছা জানান।এর আগে মঙ্গলবার সকাল  সোয়া ১১টার দিকে তার গুলশানের বাড়ি  থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে তার গাড়ি বহর রওয়ানা  দেয়। গাড়ি বহরে বিএনপি  নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমের গাড়িও বহরে ছিল।

এদিকে নয়াপল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা জোরদার করা হয়। সারিবদ্ধভাবে সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে হাত  নেড়ে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানান তারা। খালেদা জিয়াও তাদের শুভেচ্ছার উত্তর  দেন।মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গাড়ি বহর দলীয় কার্যালয় নয়াপল্টন দিয়ে যাওয়ার সময় হাজারো  নেতাকর্মী  সেখানে জড়ো হন।এ সময় তার গাড়ি বহর ধীর গতিতে চলে। বিএনপি প্রধানও নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।এদিকে  ছুটির দিন হলেও খালেদার গাড়ি বহরকে  কেন্দ্র করে রাজধানীর প্রবেশমুখ কাঁচপুর ব্রিজ, সাইনবোর্ড এলাকায় প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়।অপহরণের পর সাত খুনের  হোতাদের  গ্রেফতার ও খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভিন্ন  স্লোগানও  দেন তারা।

এদিকে, বিএনপির  চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করার সময় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় কয়েকটি বেসরকারি  টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।নিহত প্যানেল  মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারের বাসায় স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর খালেদা জিয়ার বক্তব্য কয়েকটি টিভি চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করে। এ সময় ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের স্যাটেলাইট টিভি সংযোগ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এসবি স্যাটেলাইট কোম্পানির মালিক আবদুল করিমের মুঠোফোনে  যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া  গেছে।