66দৈনিক বার্তা – বড়দের যেমন অতিরিক্ত গরমে সমস্যা হয় তেমনই শিশুদেরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়৷ কিন্তু সচরাচর সেগুলি আমরা সেভাবে খেয়াল করি না বা অনেক সময় বোঝাও যায় না বাচ্চার গরমে সমস্যা হচ্ছে কিনা৷ তাই এই গরমে বাচ্চাদের বিভিন্ন সমস্যার লক্ষণ, সমাধান ও শিশুর যত্নের কিছু তথ্য রইল আপনাদের জন্য৷

কিভাবে বুঝবেন গরমে আপনার শিশুর কষ্ট হচ্ছে কিনা? এগুলি বোঝার জন্য বিশেষ কয়েকটি উপসর্গ রয়েছে৷

চেহারা লাল হয়ে যাওয়া
ঘুমের মধ্যে বেশি নড়াচড়া করা
ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যাওয়া
বারবার হাঁপিয়ে যাওয়া, ঘমঘম শ্বাস নেওয়া
শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া
অলসতা আসা বা ঝিমুনি ভাব
অতিরিক্ত তাপমাত্রায়ও শিশুর ঘাম না হওয়া বা সামান্য ঘাম হয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া
অকারণে চুল ওঠা
ঠোঁট ও চোখ শুকিয়ে যাওয়া

এই সমস্যা থেকে শিশুতে বাঁচাতে কয়েকটি সাধারন সমাধান রয়েছে৷ গরমে শিশুর অবশ্যই বিশেষ কিছু যত্নের দরকার৷

গরমে শিশুকে সুতির পাতলা জামা পরাবেন৷ এতে শরীর ঠান্ডা থাকে৷ বাইরে বেরোলে ফুলহাতা পালতা সুতি কাপড় পরাবেন৷ যতটা সম্ভব ঢেকে রাখবেন, যাতে গায়ে রোদ না লাগে৷ কারণ শিশুর ত্বক ভীষণ নরম হয় ফলে সূর্যের রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে৷ সন্থেটিক ডায়পার শিশুকা না পরানোই ভাল৷ কারণ গরমে এতে বেশি কষ্ট হয়৷ এবং গরমে শোয়ানের সময় একটি শক্ত বালিশ ও বিছানায় শোয়ান৷
বিভিন্ন উপায়ে পানি  বা জলীয় পানীয় খাওয়ানো গরমে অত্যন্ত পরিমাণে ভাল৷ বাইরে বেরোনোর আগে ও বাইরে থেকে ফিরলে স্যালাইন ওয়াটার খাওয়ান৷ যে ধরনের খাবার শরীরে জব ধরে রাখতে সাহায্য করে সেই ধরনের খাবার খাওয়ান৷ শিশু না ঘামলে অনেকে মনে করেন শরীরে পর্যাপ্ত পানি রয়েছে৷ কিন্তু মনে রাখবেন, শিশু না ঘামলেও শুষ্ক ও গরম আবহাওয়ার জন্য বিভিন্ন উপারে শিশুর শরীর থেকে পানি বেড়িয়ে যায়৷ এই সময়ে পানির অভাবেই শিশু বারবার ডিহাইড্রেশনের ভোগে৷
শিশুর ত্বক শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে কিনা দেখুন৷ বর্তমানে গরমেও আবহাওয়া শুষ্কই থাকে৷ ফলে শিশুর ত্বক শুষ্ক হয়ে এলে গোছলের পর শিশুর ত্বকে সামান্য গ্লিসারিন বা অলিভ ওয়েল মাখিয়ে দিন৷ ত্বকে যদি অ্যালার্জি হয় তবে তবে অবশ্যই চিকিৎসকেরা পরামর্শ নিতে হবে৷ শিশুদের জন্য স্পেশাল সানস্ক্রিন পাওয়া যায়, বাইরে বেরোনোর আগে অবশ্যই এটি লাগিয়ে নিন৷ শিশুকে নিয়ে বাইরে টাওয়ার আগে অবশ্যই ছাতা নিয়ে বেরোবেন৷


এগুলির পাশাপাশি আরও কয়েকটি কাজ করতে পারেন৷ সেগুলি হল:

শরীর বেশি গরমে হলে গোছল করিয়ে দিন৷
অতিরিক্ত গরমে শিশু পানি নিয়ে খেলা করতে চাইলে করতে দিন৷
গরমে রাতে শোয়ার আগেও গোছল করাতে পারেন বা ভেজা কাপড় দিয়ে গা মুছিয়ে দিতে পারেন৷
শিশুর ঠান্ডা লাগার বাতিক না থকলে গরমে একাধিক বার গোছল করালে অসুবিধা নেই৷
শিশুর খাবারে তেল মশলা কম দেবেন৷ অতিরিক্ত তেল-মশলা শরীর গরম করে৷
শিশুকে সরাসরি এসি বা ফ্যানের তলায় রাখবেন না৷ এতে ডিহাইড্রেশনের পরিমাণ বেশি হয়৷

এগুলির পরও যদি শিশু সমস্যায় আক্রান্ত হয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ একান্ত প্রয়োজন৷