ICM107Bনাজিম হাসান/দৈনিক বার্তা – বাগমারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রদের অবহেলার কারনেই সরকারী ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ১ হাজার ২০৭ জন অসহায় গরীব বয়স্ক, বিধবা,স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ্য মহিলা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। তাদের গাফিলতির কারনেই এমন ঘটনা ঘটছে বলে এলাকার সচেতন মানুষ মনে করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে বাগমারা উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভায়  সরকারী বরাদ্ধ হিসাবে বয়স্ক ভাতার ৭১৯ জন, বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ্য মহিলাদের জন্য ৪১৬ জন ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ৭২ জনের কার্ড বরাদ্ধ প্রদান করেন। কার্ড বরাদ্দের ৬ মাস অতিবাহিত হলেও অদ্যবদি সময় পর্যন্ত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রেরা ওই কার্ডধারীদের কোন কযক্রম হাতে নেয়নি বলে বিভিন্ন ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে। তারা ওইসব ব্যক্তিদের তালিকা তৈরী করে সমাজসেবা অফিসে জমা দেননি বলে সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা গেছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে ওই সব কার্ডধারীদের তালিকা তৈরী করে মন্ত্রনালয়ে না পাঠালে ওই সব কার্ডধারীরা বঞ্চিত হবেন বলে জানা গেছে। বাগমারার ১৬ টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার মধ্যে ৬ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানেরা তাদের কার্যক্রম শেষ করে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরে জমা দিয়েছেন। বাঁকী ১২ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভার এখনো কোন কার্যক্রম করা হয়নি বলে ইউনিয়ন ও পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে। সচেতন মানুষ মনে করছেন সরকারী বরাদ্দকৃত কার্ড গুলো হত দরিদ্র মানুষের নামে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে বিতরন না করে চেয়ারম্যানেরা এমন গাফিলতি করছেন কেন এমন প্রশ্ন সকলের ? তবে কেউ কেউ বলছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানেরা কার্ডগুলো ভাগ বাটোয়ারার মাধ্যমেই তাদের আতœীয়স্বজনদের মধ্যে বিতরন করছেন বলে জানিয়েছেন।
এব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে সমাজসেবা অফিসার আব্দুল্লা আল ফিরোজ প্রথমে কথা বলতে অস্বীকার করলেও পরে তিনি বলেন, কাজ দ্রুত গতিতে করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রদের অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা কাজ গুলো দিবো দিচ্ছি বলে বার বার সময় কালক্ষেপন করছেন।
অপর দিকে বাগমারা উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি বাসুপাড়া ইউণিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান মাষ্টার বলেন, কাজগুলোর সময় জুন পর্যন্ত রয়েছে। তাই আমরা আস্তে আস্তে কাজগুলো জুন মাসের মধ্যে কমপ্লিট করে সমাজসেবা অফিসে জমা দিতে পারবো বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদেকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জুন মাসের মধ্যে তাদের প্রত্যেকের তালিকা তৈরী করে জমা দিলে জুলাই মাস থেকে কার্ডধারীরা তাদের ভাতার টাকা গুলো ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারবেন। তবে জুন মাসের মধ্যে সকল ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার তালিকা তৈরী করে সমাজসেবা অফিসে জমাদানের যাবতীয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান।