2দৈনিক বার্তা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,যে বাহিনীর জনগণের জীবন রক্ষা করার কথা ছিল,যে বাহিনীর জন্ম হয়েছিল জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে,  সেই র‌্যাব আজ নিরীহ মানুষের জীবন ও সম্পদ হরণ করছে। তখন সে বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। তিনি বলেন, র‌্যাবকে বিলুপ্তি না করা হলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হবে। কারন র‌্যাব এখন বাংলাদেশের জন্য আতঙ্ক হয়ে গেছে। তারা যতদিন থাকবে ততদিন মানুষের মধ্যে শান্তি থাকবে না।

মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে খেলাফত মজলিস আয়োজিত বর্ধিত দায়িত্বশীল সভার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই দলটি ৭২-৭৫ শাসনামলেও এই কাজ করেছিল। সে সময় তারা ভিন্নমত পোষণকারীদের ধরে হত্যা করেছিল। এখনও তাই করছে।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ  দেশে একদলীয় শাসন চালু করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসতে পারবে না  জেনেই সংবিধান সংশোধন করে একদলীয়ভাবে একটি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে। এখন তারা সেই ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে  দেশব্যাপী অপহরণ-গুম-খুনে  মেতে উঠেছে।

জামায়াতে ইসলামীর আদর্শ আছে, নীতি আছে এবং তারা গণতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় ফখরুল একটি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে বলেন, সম্প্রতি জামায়াত তাদের কার্যালয়ে গণতান্ত্রিকভাবে সভা করছিল। এ সময় পুলিশ তাদের আমিরসহ কয়েকজন  নেতা-কর্মীকে আটক করে। এ ঘটনা কখনও একটি গণতান্ত্রিক  দেশে ঘটতে পারেনা।

ফখরুল বলেন, যে বাহিনী জীবন রক্ষার জন্য গঠিত  সে বাহিনী আজ মানুষ গুম করে হত্যায় লিপ্ত। তাই তো দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন র‌্যাবের আর প্রয়োজন  নেই।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতে নারায়ণগঞ্জে যাননি। তিনি  দেশের মানুষের কথা বলেন। যারা মানুষের অধিকার হরণ করেছে তাদের কছে  বেগম জিয়ার বক্তব্য উস্কানিমূলকই মনে হওয়ার কথা।

তিনি বলেন, গত বছর ৫  মে হেফাজতের সমাবেশের সময় সরকার দালাল নিয়োগ করে কোরআন শরীফ পুড়িয়েছে। নির্মমভাবে হত্যা করেছে মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের। এটাই কি তাদের গণতন্ত্রের নমুনা? তিনি আরো  বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে। এটাই কি তাদের গণতন্ত্রের নমুনা?

দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম ও অধিকার আদায়ে জনগণকে সাথে নিয়ে শীঘ্রই সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।

খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারপার্টির চেয়ারম্যান মে. জে. (অব.) সৈয়দ  মোহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপি মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদ,জাতীয় পার্টির (একাংশ) প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম আলম,  খেলাফত মসজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের প্রমুখ।