2দৈনিক বার্তা : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নারায়ণগঞ্জের হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনীতি না গত বছর পেট্রোলবোমায় ও আগুনে  পোড়া মানুষদের বাড়ি গিয়ে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত  ভেঙে দিতে হবে উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে আওয়ামী লীগের এই  নেতা বলেন,

মুক্তিযোদ্ধাদের সারাদেশের উপজেলাগুলোতে যে কমিটি আছে তাদের ভূমিকা রাখতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের বের করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। কাউকে ছাড় দেয়া যাবে না।

মঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্থানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ‘সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফ্রন্ট’ কার্যালয়ে  শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় হাছান মাহমুদ এ আহ্বান জানান।

খালেদা জিয়ার সফরের বিষয়ে নরায়ণগঞ্জবাসীকে সাবধান করে হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদার হাতে রক্ত ও  পেট্রলবোমা রয়েছে। আপনারা সাবধান থাকবেন। তিনি আসার পর  যেন আবার নতুন করে মানুষ গুম ও খুন না হয়।ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নারায়ণগঞ্জে গিয়ে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনীতি না করে গত বছর আপনার নেতৃত্বে যে সব লোককে  পেট্রলবোমা ও আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছে তাদের পরিবারের কাছে গিয়ে সমবেদনা জানান। পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়ে তাদের কাছে ক্ষমা চান।

সাবেক এই মন্ত্রী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের  নেতাকর্মী দমনে খালেদা জিয়া র‌্যাব বাহিনী গঠন করেছিলেন। আমরা ক্ষমতায় এসে সেই র‌্যাবকে উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জঙ্গি দমনে কাজে লাগিয়েছি।  দেশে বিদেশে এই বাহিনী ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, কোনো বাহিনীর অফিসারদের নৈতিক পদস্খলনের কারণে তার বিচার হবে। কিন্তু কারো অপরাধে পুরো বাহিনীকে বিলুপ্ত করা ঠিক হবে না। খালেদা জিয়ার র্যা ব বিলুপ্তির পরামর্শ মাথাব্যথার চিকিৎসায় মাথা কাটার পরামর্শের মতো।

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে প্রথম হত্যা-গুমের রাজনতি শুরু হয় জিয়াউর রহমানের আমলে। জিয়াউর রহমানের সময় ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের নেতা মাহফুজ বাবুকে অপহরণ করা হয়। তার লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। যারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, তারা এখন হত্যা-গুমের রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলে। তাদের কথা শুনে মানুষ হাসে। আমাদের লজ্জা হয়। নারায়ণগঞ্জের হত্যা-গুমের সঙ্গে বিএনপি জড়িত। যাদের গুমের পরে হত্যা করা হয়েছে তারা সবাই আওয়ামী পরিবারের সদস্য।

সাবেক মন্ত্রী বলেন, র‌্যাবের বিরুদ্ধে এখনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। যারা পুরো বাহিনীকে বিলুপ্তির পরামর্শ দেন তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক কি না ?আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে যাতে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে, সেজন্য তারা র‌্যাব বিলুপ্তির কথা বলেন। কারণ তারা জঙ্গিবাদের লালন করেন।