2দৈনিক বার্তা: বন্দর ব্যবহারকারী সব সংগঠনের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর।বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের দ্বারা হয়রানি বন্ধসহ তিন দফা দাবিতে বুধবার (১৪ মে) সকাল থেকে তারা এ ধর্মঘটের ডাক দেয়।এতে হিলি বন্দরের ওয়্যার হাউজসহ ভারত অংশে আটকা পড়েছে পণ্যবাহী অসংখ্য ট্রাক।

বুধবার সকাল ১১টায় পানামা হিলি  পোর্ট লিংক লিমিটেডের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। মিছিলটি হিলি বন্দরের শূন্য  রেখা হয়ে হাকিমপুর উপজেলা পরিষদে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল  থেকে জয়পুরহাট-তিন বিজিবি অধিনায়কের অপসারণ দাবি করা হয়। এসময় তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে নিজেদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি  দেয়।

তাদের দাবিগুলো হলো-বিজিবি কর্তৃক অসৌজন্যমূলক আচরণ বন্ধ, সরকারি নীতিমালা না মানার জন্য তিন বিজিবি অধিনায়কের অপসারণ, আমদানি ম্যানিফেস্টে বিজিবি কর্তৃক জিরোপয়েন্টে সিল ও এন্ট্রি বন্ধ,  বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বন্দর   থেকে খালাস করা পণ্য বিজিবির বিভিন্ন চেকপোস্টে আটক করে হয়রানি এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারককে অবগত না করে মামলা দায়ের বন্ধ করতে হবে।এদিকে, সকাল  থেকে হিলি বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার পাশাপাশি লোড-আনলোডসহ বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

দুপুর ১২টায় বন্দরের সামনে বাংলাহিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কাশেম আজাদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে আব্দুর রহমান লিটন বলেন, হিলি বন্দরে আমদানিকৃত পণ্যের ম্যানিফেস্টে বিজিবি অবৈধভাবে সিল ও এন্ট্রি করছে। যা সময় সাপেক্ষ। এতে অনেক আমদানিকারক এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। ফলে বন্দর দিয়ে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। হিলি বন্দরকে বাঁচানোর লক্ষ্যে বিজিবি কর্তৃক হয়রানির প্রতিবাদে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকলেসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বন্দর এলাকায় পুলিশ তৎপর রয়েছে।

বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো হলো- বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টঅ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন,আমদানি-রপ্তানি কারক গ্র“প, বাংলাহিলি ট্রাক মালিক গ্রুপ, বাংলাহিলি ট্রাক চালক গ্র“প, বাংলাহিলি কুলি শ্রমিক বন্দোবস্তকারী, বাংলাহিলি সমন্বয়কারী পরিষদ ও বাংলাহিলি আন্তঃজেলা ট্রাক বন্দোবাস্তকারী।

একই দাবিতে বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন  সোমবার এক ঘণ্টা ও মঙ্গলবার দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করে।