1দৈনিক বার্তা: হাই কোর্টের নির্দেশে র‌্যাবের চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারে  কোন দীর্ঘসূত্রতা করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।তবে আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলার কারণেই একটু সময় লাগছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।বুধবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে  বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।

এর আগে মাদকদ্রব্য চোরাচালান সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির  বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  বেঠকের পর সাবেক তিন সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করতে দেরি হচ্ছে কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে প্রক্রিয়া  মেনেই  গ্রেফতারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের  গ্রেফতারের সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। সাবেক ওই তিন  সেনা কর্মকর্তার আত্মসমর্পন বা আপিল করা ছাড়া উপায় নেই।বুধবার তিন  সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হবে এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এ ধরনের কথা বলিনি, আমাকে মিস  কোট করা হচ্ছে।

কিছু কিছু গণমাধ্যমে মন্ত্রী মিসকোট’ করার হয়েছে অভিযোগ তুলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিন কর্মকর্তা বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করবে আমি এমন কথা বলিনি।আমি বলেছি- আমাদের প্রক্রিয়া ে শেষ। তাদের আত্মসমর্পণ কিংবা আপিল ছাড়া  কোন উপায় নেই। তাই তারা আত্মসমর্পণ বা আপিল করতে পারে। করবে- এমন কথা বলিনি।

মঙ্গলবার রাতে দুটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বুধবার ওই তিন র‌্যাব কর্মকর্তা আত্মসমর্পণ করতে পারেন- এমন কথা বলেছিলেন মন্ত্রী।নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে অভিযোগের মুখে থাকা র‌্যাব-১১ এর সাবেক কমান্ডার তারেক সাঈদ  মোহাম্মদসহ তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারে গত রোববার হাই কোর্টের আদেশ হয়।আদেশের পর দুই দিনেও সামরিক বাহিনী  থেকে অবসরে পাঠানো এই তিন কর্মকর্তা  গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নিহতদের স্বজনরা।এ  গ্রেক্ষাপটে রাতে এনটিভি ও সময় টিভিকে সাক্ষাৎকার  দেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

হাই কোর্টের আদেশের বিষয়ে তাকে বলতে  শোনা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যখন আমাদের কাছে আসছে, আমরা তখন নিয়মমাফিক যেটা করার ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জের আইও যে তার মাধ্যমে পুলিশ সদরদপ্তরে এবং  সেটা পুলিশ সদরদপ্তর  থেকে চলে গেছে এমওডিতে (প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়)। ে সটা এখন প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
আমরা অপেক্ষা করছি তাদের প্রক্রিয়ার জন্য। এখানে আমাদের করার কিছুই নেই। হয় তারা সারেন্ডার করবে কোর্টে গিয়ে নতুবা আপিল করবে, রিট হয়েছে যদি কিছু বলার থাকে। এছাড়া আর কিছু করার নাই। সেটাই হবে।

আজতো ছুটির দিন,  যে  নোটিস তাদের কাছে যাওয়ার তা গেছে এবং তারা আগামীকাল আপিল করতে পারে আবার তারা সারেন্ডারও করতে পারে।গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়,তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ ভেসে ওঠে।

এ ঘটনায় র‌্যাব-১১ এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নজরুলের পরিবার অভিযোগ তুললে ঘটনা তদন্তে হাই কোর্টের নির্দেশে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এরপর হাই কোর্ট আরেক আদেশে তিন  কর্মকর্তাকে  গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়।তারেক সাঈদ  মোহাম্মদ ছাড়া অন্য দুই কর্মকর্তা হলেন-  সেনা কর্মকর্তা আরিফ  হোসেন এবং নৌবাহিনীর কর্মকর্তা এম এম রানা।অপহরণের পর তাদের নারায়ণগঞ্জ থেকে সরিয়ে আনা হয়,পরে তাদের অবসরে পাঠানো হয়।