দৈনিক বার্তা: পূর্ব শত্র“তার জের ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের সংঘর্ষে আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন।বুধবার সকাল ১০টায় দুই দফা সংঘর্ষে তারা আহত হয়। এ সময় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলামের অনুসারী উপ- সম্পাদক কানন ওরফে ছোট কানন, সহ-সম্পাদক ইব্রাহীম, বহিষ্কৃত রাসেল ও শাকিলের নেতৃত্বে ১০-১২ কর্মী চাপাতি, রামদা, রড ও লাঠিসোটা নিয়ে ভাস্কর্য চত্বরের সামনে সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর রায়হানের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ ঘটনায় সাধারণ সম্পাদক গ্র“পের কর্মী রাসেল ও সাইফুল বাঁধা দিতে আসলে তাদের ওপরও হামলা চালায়। পরে তাদের গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সুমনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খবর শুনে সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে সভাপতিগ্র“পের কর্মীদের ধাওয়া করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে বহিষ্কৃত রাসেল, আশরাফুল, কাননসহ উভয় পক্ষে আট কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।এসময় সভাপতি গ্র“পের নেতা কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করেছে সাধারণ সম্পাদক গ্র“পের নেতা কর্মীরা। পরে পুলিশ ও প্রক্টর এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
হামলার শিকার ছাত্রলীগ কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, সভাপতি শরিফুল ইসলামের নির্দেশে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।এ ব্যাপারে প্রক্টর অশোক কুমার সাহা বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণে এঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। এখন তারা উভয়ে সমঝোতার চেষ্টা করছে। ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরবর্তীতে আবারও সমস্যার সৃষ্টি হলে আমরা পুলিশের সহায়তা নেব।
এদিকে আবার ও দুপুর দুটায় সভাপতি শরিফের গ্র“প ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক রাসেল ও সাইফুলের দল বাঁধা দেয়। পরবর্তীতে তারা ঢুকতে না পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পাঁচটি দোকান ভাঙচুর করে।