VBK-KHALEDA_ZIA_1408345fদৈনিক বার্তা : রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে লাল পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় লাল পাসপোর্ট জমা দিয়ে সবুজ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন তিনি।ঢাকার বিভাগীয় পাসপোর্ট পরিচালক মুন্সি মুহিত ইকবালের তত্ত্বাবধানে বেগম জিয়া এ আবেদন করেন। এ সময় তিনি আঙ্গুলের ছাপ দেন ও ছবি তোলেন।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসভবন থেকে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে রওয়ানা হন। সেখানে পৌঁছেন ৪টা ৩৮ মিনিটে। এরপর বিকেল ৫টা ৭ মিনিটে তিনি আগারগাঁও থেকে গুলশানের বাসভবনের উদ্দেশে রওনা দেন।

চেয়ারপারসন আগারগাঁও ত্যাগের পর তার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে লাল পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন। যেহেতু এখন কোনো রাষ্ট্রীয় পদে নেই তাই লাল পাসপোর্ট জমা দিতে স্ব-শরীরে তিনি পাসপোর্ট অফিসে এসেছিলেন।লাল পাসপোর্ট ব্যবহারের জন্য সরকারের কাছে কোনো প্রকার আবেদন করা হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর চেয়ে বড় বড় অনেক কিছুই তো সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার পাওয়ার কথা ছিল। সেগুলো থেকেই সরকার তাকে বঞ্চিত করেছে। লাল পাসপোর্ট তো তেমন কোনো ব্যাপার না। তাই লাল পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হবে না।

এদিকে দলের চেয়ারপারসনের আগমনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ১৫-২০ হাজার নেতা-কর্মী আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগানে স্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত করে তোলেন।দলের চেয়ারপারসন ও ১৯ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে নেতাকর্মীরা দুপুরের পর থেকেই আগারগাঁওয়ে এসে অবস্থান নিতে থাকে। মূলত মিরপুর,পল্লবী, শাহ আলী, দারুস সালাম, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, আদাবর, ধানমন্ডিসহ আশপাশের এলাকার নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হন।

এ সময় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন অলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।