1দৈনিক বার্তা :  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সৎ ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে সকলকে দুর্নীতিমুক্ত ও সৎ থাকতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে শুক্রবার ‘রস্টোরেটিভ জাস্টিস ইন বাংলাদেশ :চ্যালেঞ্জেস এন্ড প্রসপেক্টস ‘শীর্ষক দিনব্যাপী এক জাতীয় সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আমির-উল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ইনস্টিটিউটের ভিকটিমোলজি এন্ড রেসটোরেটিভ জাস্টিস প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের স্বাগত বক্তব্য দেন। অধ্যাপক ড. মাহবুবা সুলতানা এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ তৌহিদুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

উপাচার্য নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন একাডেমিক শিক্ষার ওপর গুর“ত্বারোপ করে বলেন, দেশের আইন প্রণেতারাই আইন ভাঙ্গলে এবং আইন ও বিচারের শিক্ষার্থীরাই অন্যায়, অপরাধ ও অবিচারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়লে সমাজ এগুতে পারে না। তাই শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি একজন মানুষকে অবশ্যই নীতিবান হতে হবে।

দেশ, সমাজ ও মানবসভ্যতার উন্নয়নে সামাজিক ন্যায়বিচার পুনঃপ্রতিষ্ঠার ওপর গুর“ত্বারোপ করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাবিরোধীরা এ দেশের ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল। এসব হত্যাকারীকে অবিলম্বে চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি বিধানের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার পুনঃপ্রতিষ্ঠার যাত্রা শুরু করতে হবে। তিনি সাধারণ মানুষের নিরাপদ বসবাস এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, দিনব্যাপী এই সেমিনারে দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, সাংবাদিক এবং উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।