1দৈনিক বার্তা : নরেন্দ্র মোদির ভারতের সঙ্গে প্রতিবেশীদের সম্পর্ক কেমন যাবে তা নিয়ে সার্ক রাজধানীগুলোতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। অনেকেই সতর্কতার সঙ্গে ইঙ্গিত করছেন যে, দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে অনেকে যে ধরনের নেতিবাচকতার আভাস দিচ্ছেন তারা তাতে অবাক হতে পারেন। কূটনীতির মোদি ব্র্যান্ড নাটকীয় হতে পারে। এর মধ্যে ঢাকায় উত্তেজনার পারদ টগবগিয়ে ফুটছে। বারাক ওবামা ও নওয়াজ শরিফ মোদির সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন। তাদের দেশ সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আর বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোদির কাছে লেখা এক দীর্ঘ চিঠিতে বলেছেন, ‘আশা করি বাংলাদেশ আপনার কাছে ‘দ্বিতীয় ঘর’ হয়ে উঠবে। আর বিদেশ সফরে বাংলাদেশ হবে প্রথম গন্তব্য।’ অন্যদিকে মোদিকে অভিনন্দন জানাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী  বেগম খালেদা জিয়া এমনকি শেখ হাসিনাকেও অতিক্রম করেছেন।
এটা লক্ষণীয় যে, ওয়াশিংটন, ইসলামাবাদ ও ঢাকা সবারই অভিন্ন আশাবাদ। দক্ষিণ এশীয় উত্তেজনায় বিশেষ করে যা বাংলাদেশের মানুষকে স্পর্শ করে তাতে ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে দিল্লির সমীকরণ অনেক সময় বিবেচ্য হয়ে ওঠে। ক্ষমতাসীন দলের অস্বস্তি ও বিএনপির স্বস্তি ইতিমধ্যেই মনোযোগের কেন্দ্রে এসেছে। সরকারের মিত্রদের উদ্বেগ দেখে মনে হচ্ছে, তারা আর যা-ই হোক বিষয়টি রুটিনমূলক পরিবর্তন হিসেবে নিতে পারছেন না। অনেকের মতে, মোদি তাঁর প্রতিবেশী নীতি থেকে সমস্ত ‘‘ব্যক্তিগত বিষয় ও কার্যকরণ’’ ঝেড়ে ফেলে কেবল জাতীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দিতে পারেন।
৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের প্রতি মোদির মনোভাব যে ১৫ই মে’র আগের দিল্লির মতো থাকতে পারে না- সে ব্যাপারে অনেকেই নিশ্চিন্ত। এই সম্ভাবনার সঙ্গে অনেকে বিএনপির শিবিরের উল্লাসের যোগসূত্র খুঁজছেন। কংগ্রেস এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল যে, বাংলাদেশের ৫ই জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনকে তারা নিঃশর্ত সমর্থন দিয়েছিল। সিএনএন-এর এক প্রশ্নের জবাবে বিজেপি’র একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘বন্ধু বদল হতে পারে। প্রতিবেশী তো বদলানো যায় না ’
ঢাকার পর্যবেক্ষকরা লক্ষ্য করছেন, মোদিকে অভিনন্দন জানানোর ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে অনুসরণ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যকার দৃষ্টিভঙ্গি নির্বাচনী প্রচারণাকালেই স্পষ্ট হচ্ছিল। বিএনপি নেতৃবৃন্দ প্রকাশ্যে ভারতের সম্ভাব্য পটপরিবর্তনকে স্বাগত জানানোর মনোভাব ব্যক্ত করেছিলেন। দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কে একটা নতুন সমীকরণ আশা করা হচ্ছে। কূটনীতিক বহিষ্কার ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে এসে  ঠেকেছিল। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে  গুজরাটের গান্ধীনগরে গিয়ে ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি পাওয়েল যেদিন মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন, সেদিনই আসলে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে ভারতের ক্ষমতায় মোদি আসছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসলে এক্ষেত্রে লুকোছাপা করতে চায়নি। বিজেপিও ওয়াশিংটনের শুভেচ্ছার প্রতি সদিচ্ছা দেখাচ্ছে।  ঢাকার পর্যবেক্ষকদের অনেকে এখন স্মরণ করছেন যে, বাংলাদেশ ইস্যুতে কংগ্রেস সরকার যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে যেভাবে নস্যাৎ করেছিল সেটা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে ছিল। পরে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করেছে বাদ বাকি বিশ্ব। কংগ্রেসের ভারত ছাড়া কেউ ‘দ্বিতীয় ঘরে’ নেই!


ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল: গতকাল ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টির নেতাকে প্রতিবেশী বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।
এই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে হিন্দু জাতীয়তাবাদী মোদিকে একজন বিতর্কিত এবং মেরুকরণকৃত ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেখা হয়। যার বিরোধাত্মক স্টাইল দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশীদের মধ্যকার জটিল সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
বাংলাদেশের বহু মানুষ উদ্বিগ্ন। কারণ বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। তারা আরও উদ্বিগ্ন যে, ২০০২ সালে গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়- তাদের বেশির ভাগই ছিল মুসলমান। তা প্রতিরোধে তিনি যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেননি। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ওই দাঙ্গার দায়-দায়িত্ব সব সময় তিনি নাকচ করে এসেছেন।
পশ্চিমবঙ্গে তার সাম্প্রতিক নির্বাচনী প্রচারণাকালে মি. মোদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত দেন। অবৈধ অভিবাসীদের বাংলাদেশে বিতাড়নের ঘোষণা দেন। ১৯৪৭-এর আগে ও পরে বহু বাংলাদেশী পরিবার ভারতে পাড়ি জমান। তারা সেই থেকে সীমান্তের উভয় পাশে অবস্থান করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক শহিদুজ্জামান বলেছেন, বিজেপি সরকার যদি বাংলাদেশী বহিষ্কারের নির্বাচন-পূর্ব হুমকি বাস্তবায়ন করতে বসে তাহলে বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের প্রতি ন্যায্য মনোভাবের পরিচয় দেবেন। তার কথায়, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সহযোগিতা পাওয়া ভারতের জন্য প্রয়োজনীয়। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে তার ট্রানজিট দরকার। তাই একটি নতুন সরকার বাস্তবমুখী নীতি অনুসরণ করবে বলেই প্রত্যাশিত।
ঐতিহাসিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন বিরোধী দল যা বয়কট করেছে, তার প্রতি দিল্লি শক্তিশালী কূটনৈতিক সমর্থন দিয়েছিল।
শেখ হাসিনা বারংবার উল্লেখ করেছেন, তার সরকার অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা এবং বিরোধপূর্ণ সীমান্ত সমস্যা নিরসনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক বিশ্লেষকের মতে বিজেপি এসব বিষয়ে সমঝোতা চায়নি, বরং বিরোধিতা করেছে। তাই এ সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা ক্ষীণ। ঢাকার সরকারি পর্যায়ে থেকে আভাস দেয়া হচ্ছে যে, দিল্লিতে একটি বিজেপি সরকারের উত্থানের অর্থ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার সদস্য ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেছেন, ভারতে যেই ক্ষমতায় আসুক না কেন, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
উল্লেখ্য, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পংকজ শরণ ১৬ই মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সপ্তম কাউন্সিলে বলেন, নিকট প্রতিবেশী হিসেবে ঢাকা ও দিল্লিকে একত্রে কাজ করতে হবে। কারণ তাদের উভয়ের সমৃদ্ধি অর্জন ও বেড়ে উঠতে হবে।
রয়টার্স: গত ৩০শে মার্চ দিল্লি থেকে রয়টার্সের সঞ্জিব মিগলানি লিখেছিলেন, মোদি যদি জয়ী হন, প্রতিবেশীরা একটি অধিকতর পেশীবহুল ভারতকে দেখতে পাবে। মোদির দু’জন উপদেষ্টার একজন বলেছেন, ভূ-খণ্ডগত বিরোধ প্রশ্নে ভারত চীন ও তার পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে কঠোর অবস্থান নেবে।
গত মাসে অরুণাচল প্রদেশের- যা চীনের কাছে দক্ষিণ তিব্বত হিসেবে পরিচিত, মোদি সেখানে বলেন, ‘আমি মাটির নামে শপথ করে বলছি, আমি এই দেশ রক্ষা করবো। চীনকে তিনি ‘সাম্রাজ্যবাদী মাইন্ডসেট’ বদলের আহ্বান জানান। মোদির মতে দেশের ৬৭ বছরের ইতিহাসে ৫০ বছরের বেশি সময় দেশ শাসনকারী কংগ্রেস জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে দুর্বল। যদিও ভারত সমরাস্ত্র ক্রয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশের তালিকায় রয়েছে। ২০০৭-২০১১ সালে ভারত ১২.৭ বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র ক্রয় করেছে।
মোদির দুই উপদেষ্টা বলেন, যদিও তাদের বিদেশ নীতি পেশীবহুল হবে তবে একই সঙ্গে তারা অর্থনীতি পুনরুজ্জীবনে আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনে উদ্যোগী হবে। বিজেপি নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন স্ট্র্যাটেজিস্ট বলেন, ‘আমাদের হবে একটি অর্থনীতিচালিত বিদেশনীতি। এবং এর সামগ্রিক লক্ষ্য হবে ভারতের অর্থনীতি এতটাই নিরেট করে তোলা  যে, ‘আপনি আমাদের শর্তে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে পারবেন।’
গুজরাটকে বলা হয় ভারতের অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউজ। এক দশকেরও বেশি সময় এর নেতৃত্ব দিয়ে মোদি বিপুল পরিমাণ বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছেন। ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থ সুরক্ষা দিয়েই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি একই নীতি অনুসরণ করে চলবেন।
মোদি কখনও স্পষ্টভাবে তার পররাষ্ট্রনীতির দর্শন ব্যাখ্যা করেননি। কিন্তু বিজেপির সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রশংসা করেছেন। ১৯৯৮ সালে ‘শক্তি’ ও ‘শান্তির’ জন্য ধারাবাহিকভাবে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিজেপির ওই স্ট্র্যাটেজিস্ট বলেন, চীন বুঝতে পারবে যে, প্রধানমন্ত্রী একজন সন্ন্যাসী নন এবং তারা দুঃসাহসিক কোন কিছু করতে চাইবে না।
চট্টগ্রাম পর্যন্ত: ভারতের মতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন তাদের বিরোধপূর্ণ সীমান্ত দিয়ে শয়ে শয়ে অবাঞ্ছিত প্রবেশ নিশ্চিত করেছে। চীন অবশ্য ভারতীয় ভূ-খণ্ডে অনুপ্রবেশের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ভারত মহাসাগর ঘিরেও ভারতের অস্বস্তি রয়েছে। এর কারণ চীন পাকিস্তানের গোয়াদর থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পর্যন্ত সমুদ্র বন্দরে তার সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করেছে। বিজেপি তাই চাইছে দ্রুততার সঙ্গে নৌশক্তি বৃদ্ধি। এবং সীমান্ত লঙ্ঘনের ঘটনায় দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ। তারা একই সঙ্গে তিব্বতের সঙ্গে লাগোয়া অঞ্চলে চীনা অবকাঠামোর সঙ্গে দূরত্ব ঘোচাতে স্থল সীমান্ত সন্নিহিত এলাকায় সড়ক নির্মাণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা মজবুত করবেন।
ওই উপদেষ্টারা বলেন, বিজেপি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন রিঅ্যাকটিভ বা প্রতিক্রিয়ানির্ভর নিরাপত্তানীতি প্রত্যাখ্যান করেছে। সে কারণে মোদি সরকার গঠন করার পর পরই ওই নীতি ফেলে দিয়ে তার প্রতিবেশীর সঙ্গে মৌলিক নিরাপত্তা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নীতি প্রণয়ন করবে। এর অগ্রাধিকারের মধ্যে চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের অবসান, ভারত মহাসাগরে ভারতের প্রাধান্য বিস্তার এবং পাকিস্তানের সমর্থনে পরিচালিত মুসলিম জঙ্গিত্বের বিরুদ্ধে কম সহিষ্ণুতা প্রদর্শন। একজন অন্যতম উপদেষ্টার ভাষায় ‘আমাদের প্রতিবেশীর আঙিনায় সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত ইস্যুতে আপনি একটি অধিকতর জাতীয়তাবাদী মনোভাব দেখতে পাবেন। এসব বিষয়ে অতীতের চেয়ে যা হবে অনেক বেশি কঠোর।’
ভারতের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি স্থাপনে প্রয়াস চালিয়েছিলেন এবং পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ- যেখানে তার জন্মস্থান, সেখানে তিনি তাঁর বিদায়ের আগে শুভেচ্ছা সফর করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মুম্বইয়ে ২০০৮ সালের হামলায় যাতে ১০ পাকিস্তানি বন্দুকধারীর গুলিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছিল, তার জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ যথোচিত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছিল। আর তাই বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি মনমোহনের এই প্রস্তাবিত জন্মস্থান সফরের পরিকল্পনায় বাধা দিয়েছিল।
পাকিস্তানে নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রাজীব ডোগরা বিজেপি সরকারের অধীনে একটি অধিকতর জোরালো নীতি আশা করেন। এর কারণ এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ চাপ রয়েছে। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পরে একটি অনিশ্চিত আঞ্চলিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে, এটাও তারা বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নেবেন।
রাজীব ডোগরা অবশ্য বলেন, কতিপয় ক্ষেত্রে জটিলতা এবং সরকারের পরিবর্তন সত্ত্বেও ব্যাপক ভিত্তিক বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে ভারতে একটি ঐকমত্য রয়েছে। কিন্তু বিজেপি সরকার গঠন করতে পারলে সেই ঐতিহ্য থেকে একটি বৃত্ত ভাঙার ঘটনা লক্ষ্য করা যেতে পারে।