11দৈনিক বার্তা — ভালবাসা আছে, কিন্তু কমিটমেন্ট নেই৷ বিবাহিত হয়েও প্রাক্তন প্রেমীর খোঁজ৷ মেয়ে হোক বা ছেলে, বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত৷ সকলেই সিক্রেট প্রেম চালিয়ে যাচ্ছে৷ কিন্তু, ভেবে দেখেছেন কি কেউ যদি এসবের উপর নজর রেখে চলে তবে? ‘স্বামী-স্ত্রী আর সে’য়ের মাঝখানের সম্পর্কের খুঁটিনাটির নজরবন্দি করছে কেউ৷ কিন্তু কে সে? চিন্তায় পড়লেন কি?
অবশ্য চিন্তা করারই কথা, আড়ালে আবডালে একটু আধটু পরকীয়া তো আপনিও করেন৷ এই ধরনের লোকেদের ওয়েবদুনিয়য়া চিটার বলা হয়৷ আর এই ধরনের ওয়েবসাইটে প্রাইভেটে অ্যাফেয়ারের চাহিদায় লোক সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷
সাইবার মিডিয়ার দৌলতে বিশ্বাসঘাতকতাও বেড়েই চলেছে৷ আদমের যুগ থেকে বর্তমানে বিশ্বাসঘাতকতার চেহারা গোটাটাই বদলে গিয়েছে৷ আর সেই পালেই হাওয়া দিচ্ছে সোস্যাল মিডিয়া৷ এই মিডিয়া গোপন লোকেদের গোপনভাবে তাদের পুরোনো প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে ফের এক হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে৷ রিলেশনশিপ মনিটর ওয়েবসাইট জানিয়েছে, প্রতিদিন প্রায় ৫০০ জন বিবাহিত লোক ভালবাসা খুঁজে বেরান৷  22app_dating
পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্যই মানুষ সোস্যাল মিডিয়াতে আসেন৷ কিন্তু, সমস্যা তখনই হয় যখন তারা তাদের প্রাক্তন প্রেমীকে খুঁজতে এই ধরনের সাইট ব্যবহার করেন৷ যাদের বিবাহিত জীবন সুখের তারাও যেমন পুরোনো সম্পর্কের মাঝে নতুনত্ব খুঁজতে সোস্যাল মিডিয়ার আসেন তেমনই অনেক লোক এমনও আছেন যারা অনুভূতির ছোঁয়া পেতে চান৷
ফেসবুক বা অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়া সাইট আপনার পুরনো জীবনকেও জীবিত রাখে৷ পুরনো প্রেমকেও ভুলতে দেয় না৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ বুঝতে পারেন না তারা পরকীয়া প্রেমের দিকে ছুটে চলেছেন৷ তারা কখনও ভাবতেও পারেন না যে তাদের এই কাজ কখনও ধরা পরে যেতে পারে৷ আর সেখানেই নিজের পার্টনারের প্রতি নজর রাখতে ডাটা রিকভারি  কি-লগিয়ের মতো সফটওয়্যারের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে৷
এমনই সোস্যাল সাইটের কারণে দিল্লির বাসিন্দা পালকী বালা তাঁর স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন৷ তারণ তিনি জানতে পেরেছিলেন তার স্বামী সোস্যাল সাইটে নিজের প্রাক্তন প্রেমিকাকে খুঁজছে৷ পালকী বালা গোয়েন্দার কাছে গেলে নতুন এই খলনায়কের কথা জানতে পারেন৷ পালকী দেখতেন তাঁর স্বামী রোজই ল্যাপটপে কাজ করছেন৷ তিনি সবসময় পালকীকে এড়িয়ে যেতেন এবং রাতে দেরি করে বাড়ি আসতেন৷ কিন্তু যখন জানতে পারলেন তার স্বামী এখনও তার প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছেন পালকীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে৷
দিল্লির এক গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছেন যে সোস্যাল সাইটের এই খলনায়কের সাহায্যে ব্ল্যাকমেলিংয়ের মতো নোংরা খেলা চলছে৷ বেসরকারি গোয়েন্দা সঞ্জীব দেশওয়াল জানিয়েছেন, ‘ফেসবুক থেকেই বেশি সমস্যা হচ্ছে৷ প্রথমে ফোন নম্বর দেওয়া নেওয়া হয় তারপর দেখা হয়৷ কিছু গ্রুপও তৈরি হয়েছে যারা ব্ল্যাকমেল করছে৷ তাই চেনা লোকেদের রিকোয়েস্টই অ্যাকসেপ্ট করা উচিত’৷
এতে কোন সন্দেহ নেই যে সোস্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে৷ কিন্তু অন্য সত্যিটা হল এই সোস্যাল মিডিয়াই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে৷ এবার এটা আমাদের উপর নির্ভর করছে যে আমরা কীভাবে এর ব্যবহার করব৷