1দৈনিক বার্তা : দীর্ঘ ৭ মাস যাবত টানা পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খরার কবলে পড়েছে  পীরগঞ্জ ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা গুলো। ফলে মহাবিপদে পড়েছে কৃষককুল। উঠতি ইরি বোরো ও ভূট্টা সহ শাক সবজি ক্ষেতে অতিরিক্ত সেচ দিতে গিয়ে চাষীরা চরম আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়াও মৌসুমি ফল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সম্মুখিন  হয়েছে।

ঠাকুরগাও আঞ্চলিক ইক্ষু গবেষনা কেন্দ্রের তথ্য মতে  গত মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য ফেব্র“য়ারী পর্যন্ত ৪ মাস কোন বৃষ্টি পাত হ্য়নি। ফেব্র“য়ারীর ১৫, ১৬ ও ১৭ তারিখে মাত্র ১০ মিলিমিটার. ২৬মার্চ ২ মিলিমিটার, ২৪ এপ্রিল ২মিলি মিটার ও মে মাসের ১ম সপ্তাহে ২ দফায় ১২ মিলিমিটার মিলে  মোট ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এত স্বল্প বৃষ্টিপাত প্রয়োজনের তুলনায় সিন্ধুতে বিন্দুতুল্য। ফলে কৃষককে ইরি বোরো ও ভুট্টা সহ শাক সবজি ক্ষেতে বাড়তি সেচ দিতে হচ্ছে। পীরগঞ্জ পৌর শহরের কৃষক জাহিদুল ইসলাম, বৈরচুনা গ্রামের একরামুল হক, করনাই গ্রামের আবু তাহের, ভেলাতৈড় গ্রামের সইফুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, তাজপুরের মামুনুর রশিদ মামুন জানান, দীর্ঘ স্থায়ী খরার কারনে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়  শ্যালো মেশিনে পানি উঠছে না।

ফলে নতুন করে গভীর বোড়িং করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, বর্তমান খরা পরিস্থিতির কারনে আম, কাঠাল, লিচু, প্রভৃতি মৌসুমি ফল রস অভাবে অকালে ঝরে পড়ছে এবং ক্ষেতে অতিরিক্ত সেচ দিতে গিয়ে চাষীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।