20-05-14দৈনিক বার্তাঃ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের দুই পাশের জমি ভূমি দস্যুদের দখলে চলে যাচ্ছে। দখল কৃত এসব নদীর পাশের নদের পাশের জমিতে পুকুর খনন ও বিভিন্ন ফসল চাষের কারনে নদ ভরাট হয়ে এক কালের খর¯্রােতা কপোতাক্ষ নদ আজ মরা খালে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলার এক শ্রেনীর ভূমি দস্যু নদের দু’পাশের জমি দখল করে। এসব জমিতে মৌসুম অনুযায়ি চাষ সহ পুকুর খনন করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। মৌসুমে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষের জন্য পলিজমে নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। জমি দখলদার ভূমি দস্যু চক্র নতুন করে দখলে নিচ্ছে। মৎস্যজীবী পরিচয় দিয়ে কিছু লোক নদের উপরে বাধ দিয়ে মাছ চাষ করার কারণে স্বাভাবিক প্রবাহ বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। এক সময়ে যে নদে ছিল প্রবল স্্েরাত এবং এলাকার মানুষের খাওয়া নাওয়া সহ প্রাত্যহিক  কাজে নদের পানির ব্যবহার ছিল অত্যাবশ্যকীয়। এ নদে পালতোলা নৌকায় করে ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহন ছাড়াও জনগনের যাতায়ােেতর ক্ষেত্রে কাজ করতো, কলকাতার সমুদ্র বন্দরের সাথে এ নদের সংযোগ ছিল বলে জনশ্রুতি আছে। এ কপোতাক্ষ নদে কোটচাঁদপুর শহরের স্থাপিত সরদার চাঁদ খাঁ সুদুর আফগান স্থান থেকে নৌকা যোগে এখানে এসে বসতি স্থাপন করেন। এলাকায় ইসলাম প্রচারের কাজ করেন। সেই সময় এ নদের পাড় ঘেসে গড়ে উঠে কোটচাঁদপুর শহরের অফিস মসজিদ মাদ্রাসা স্কুল থানা ভবন কাচারি সহ অন্যান্য বাজার। দূর-দূরান্ত থেকে নৌকা যোগে নদের ঘাটে এসে ভিড়তো সওদাগর বণিকদের বাণিজ্য কাফেলার জাহাজ ও নৌকা। শুধু কপোতাক্ষ নদের কারনেই বাণিজ্য কেন্দ্র হিসাবে গুরুত্ব ছিল। অথচ আজ মরা গাঁঙে পরিণত হওয়ার কারণে ভূমি দস্যুরা দিন দিন দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে। এর প্রতিরোধ করা না গেলে অচিরেই নদের চিহ্ন মুছে যাবে এমন আশঙ্কাও করেছেন অনেকে। যারা দখল করে নিচ্ছে তারা স্থানীয় এলাকার প্রভাবশালী চক্র। হাজার হাজার একর জমি এখন ভূমি দস্যুদের দখলে রয়েছে। মৎস্য জীবী পরিচয় দিয়ে এক শ্রেনীর লোক নদের মাঝে বাধ দিয়ে পানির  প্রবাহ বাধা গ্রস্থ করে মাছ চাষ করছে। আইন অনুযায়ী  নদে কোন ভাবেই বাধ দেয়ার নিয়ম  না থাকালেও ওই দুষ্টু চক্র তা মানছেনা। যার ফলে নদ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্তরা এদিকে ভ্রুক্ষেপ করারও যেন কোন সময় নেই। এব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা দেবপ্রসাদ পাল বলেন নদীতে বাধ দেওয়ার কোন নিয়ম নেই এবং এখানে বাধ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে এটাও আমার অজানা।