1নাজিম হাসান/দৈনিক বার্তা : রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার এক এসআইয়ের অবহেলার কারনে হ্যান্ডকাফ পরানো অবস্থায় পালিয়েছে মজিবুর রহমান মজনু (৩৫) নামের এক মাদক ব্যাবসায়ী। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার বাদইল গ্রামে। মজনু ওই গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মজনুর ব্যাবহুত মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে। এ ব্যাপারে মজনুর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে দুর্গাপুর থানার এসআই তরিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার বাদইল গ্রামের দুর্গাপুর-তাহেরপুর রাস্তার ওপর অবস্থান নেন। ওই সময় ওই রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে মাদক ব্যাবসায়ী মজনু যাচ্ছিলো। এ সময় রাস্তার মধ্যে পুলিশের নিয়োগ করা সোর্সের মাধ্যমে মজনুর গতিরোধ করে তার কাছ থেকে ফেন্সিডিল কেনার কথা বলে মজনুর সাথে দরদাম করতে থাকে সাদা পোশাকে থাকা পুলিশ সদস্যরা। এর কিছুক্ষন পরেই সেখানে হাজির হোন দুর্গাপুর থানার এসআই তরিকুল ইসলাম। এ সময় সাদা পোশাকে থাকা পুলিশ ও সোর্সের সহায়তায় মজনুকে আটক করে তার হাতে হাতকড়া পরায় এসআই তরিকুল। এসময় মজনুর দেহ তল্লাসী করে দুই বোতল ফেন্সিডিল পাওয়া যায়। তল্লাসী শেষে এসআই তরিকুল তার মোটরসাইকেলে উঠানোর সময় হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যায় মজনু।
প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, মজনুকে হাতকড়া পরানো হলেও তাকে কেউ ধরে ছিলনা। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন মজনুর পালানোর ঘটনার সাথে এসআই তরিকুলের যোগসাজশ রয়েছে। পুলিশের সাথে সখ্যতা না থাকলে হাতকড়া পরিহিত আসামীকে কেউ ছেড়ে দিয়ে রাখে?
এদিকে, হাতকড়া নিয়ে পালানোর পর মজনুর ব্যাবহুত মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে কথা বলতে এসআই তরিকুল ইসলামের সাথে কথা বলা হলে, তিনি এ ঘটনার বিষয়ে কোন কথা বলতে চাননি। তার ব্যার্থতার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বারবার প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেন।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ  (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, এ ধরনের ঘটনা অনাকাংখিত। মাদক ব্যাবসায়ী মজনুর পালানোর ঘটনায় পুলিশের কোন সদস্যর গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় মজনুর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।