1দৈনিক বার্তা : ভারতে নতুন লোকসভার নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে ৮৩ শতাংশই  কোটিপতি। স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিবেচনায় এবারের লোকসভাই এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে ধনী। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী এবার বিজয়ী এমপিদের মধ্যে ৮২ শতাংশই কোটিপতি। বিজয়ী যে ৫৪১ জন প্রার্থীর তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখা গেছে, ৪৪২ জনই কোটিপতি।  ২০০৯ সালে কোটিপতি ছিল ৫৮ শতাংশ আর এর আগে ২০০৪ সালে ছিল ৩০ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে, ভারতের লোকসভায় ক্রমান্বয়ে গরিবদের প্রতিনিধিত্ব কমছে। একইসঙ্গে নির্বাচিত সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশ বিভিন্ন ফৌজদারি মামলার আসামি। ‘দাগি’ সংসদ সদস্যের সংখ্যার দিক থেকেও এবারের  লোকসভা রেকর্ড গড়তে চলেছে। নির্বাচনের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা জমা দিয়েছেন, তাতেই উঠে এসেছে এসব তথ্য। ষোড়শ লোকসভার সবচেয়ে ধনী সংসদ সদস্য হলেন চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপি’র জয়দেব গালা। সদ্য নির্বাচিত অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টরের এই সংসদ সদস্যের সম্পত্তির অর্থমূল্য ৬৮৩ কোটি রুপি। সবচেয়ে দরিদ্র সংসদ সদস্য পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের উমা সোরেন। সবচেয়ে ধনী হলেনÑ তেলুগু দেশম পার্টি, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি এবং ওয়াইএসআরসিপি’র এমপিরা। কংগ্রেস সংসদ সদস্যদের গড় সম্পত্তির আর্থিক মূল্য ১৬ কোটি রুপি। বিজেপি এমপিদের সম্পত্তির গড় ১১ কোটি রুপি। এদিক থেকে সিপিআইএম-এর  এমপিরা অনেকটাই দরিদ্র। তাদের গড় সম্পত্তির অর্থমূল্য মাত্র ৭৯ লক্ষ রুপি। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রাটিক রিফর্মস-ও রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্য হিসেবে যারা শপথ নিতে যাচ্ছেন তাদের ৩৪ শতাংশ অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশই ফৌজদারি মামলার আসামি। ২০০৯ সালে ‘দাগি’ আসামির সংখ্যা ছিল ৩০ শতাংশ। ২০০৪ সালে ছিল ২৪ শতাংশ।  এবার ৫৪১ জন বিজয়ী প্রার্থী যারা সংসদে যাবেন, তাদের মধ্যে ১৮৬ জনের বিরুদ্ধেই চলছে ফৌজদারি মামলা। ‘দাগি’ এমপিদের তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে বিজেপি। তাদের ৩৫ শতাংশ এমপিই  ফৌজদারি মামলার আসামি। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) চার এমপির সবার বিরুদ্ধেই মামলা ঝুলছে। শিবসেনার ১৮ সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৪ জনই দাগি। এন সিপির ৫ জনের মধ্যে ৪ জনই ফৌজদারি অপরাধে জড়িত। এআইডিএমকের জয়ী ৩৭ জন সদস্যেও ৬ জন নানা অপরাধে জেল খেটেছেন। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের ৭ এমপির বিরুদ্ধেও রয়েছে ফৌজদারি মামলা।