3দৈনিক বার্তাঃ ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা একরামুল হককে গুলি করে ও গাড়িতে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তার ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মঙ্গলবার রাত একটার দিকে ফেনী মডেল থানায় তিনি মামলাটি দায়ের করেন।
বিএনপির নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনারের নাম উল্লেখ করে মামলায় অজ্ঞাত আরো ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে একরামুল হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ২৩ জনকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফেনী শহরের বিলাসী সিনেমা হলের সামনে একরামুল হককে বহনকারী গাড়িতে দুর্বৃত্তরা প্রথমে গুলি করে ও পরে আগুন দিয়ে তাকে পুড়িয়ে হত্যা করে।
এসময় গাড়ির চালকসহ আরো তিনজন দগ্ধ হন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মোরশেদ জানান, একরাম হত্যার ঘটনায় রাতভর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৩ জনকে আটক করা হয়। এ ছাড়া ফেনীর বিরিঞ্চি এলাকা থেকে দুটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। হত্যাকাণ্ডের কাজে গাড়িগুলো ব্যবহৃত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজ বুধবার সকাল নয়টায় ফেনী শহরের মিজান ময়দানে একরামুলের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এরপর দ্বিতীয় জানাজার জন্য লাশ ফুলগাজী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে লাশ নিয়ে যাওয়া হবে উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের বন্দুয়া দৌলতপুরে। সেখানে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এদিকে বিএনপি নেতা মাহতাবের বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলায় ক্ষোভ ও বিস্ময়  জানিয়েছে স্থানীয় বিএনপি। তারা জানায়, মাহতাব গত উপজেলা নির্বাচনে একরামের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। ঘটনার পর থেকে আওয়ামী লীগ এর জন্য বিএনপিকে দায়ী করছে। স্থানীয় বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, তারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলেই নির্মমভাবে খুন হয়েছেন একরামুল।