1দৈনিক বার্তাঃ দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার মোবাইল ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন মিষ্টার হত্যা মামলায় বুধবার সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সোলেমান(৩৫), জাহাঙ্গীর(২৮), সাইদুল ইসলাম(৩০) , মাসুদ রানা(২১), সালাহ্ উদ্দিন(২৪),সোলায়মান (২২)(পলাতক)এবং মোঃ জসিম(২০)। আসামিদের সবাই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুরের ভাওয়ার ভিটি গ্রামের বাসিন্দা। রায়ে প্রত্যেক আসামিকে কারাদন্ডের অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ড দেন। পলাতক  সোলেমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অন্য আসামিদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

মামলার বিচার চলাকালে অভিযোগপত্রভুক্ত ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। গত ১৯ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই থানার উপপরিদর্শক মাসুদ রানা ২০১১ সালের ২২ মে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়, নিহত মিষ্টার একজন মোবাইল ব্যবসায়ী ছিলেন। ২০১০ সালের ১৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আবদুল্লাপুর বাসষ্ট্যান্ডে মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ করে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে আনুমানিক পৌনে ৯ টার সময় বাদীর বাড়ির সামনে পৌঁছামাত্র আগে  থেকেই  সেখানে ওত পেতে থাকা আসামিরা পূর্ব শত্র“তার জের ধরে নিহত মিষ্টারের পথরোধ করে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। তাদের হাতে থাকা শাল কাঠের লাঠি দিয়ে নিহতের মাথায় আঘাত করে মারত্মক রক্তাক্ত জখম করে।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই শাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে ওইদিনই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় পথরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মক জখমের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।

গুরুতর আহত মিষ্টার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরেরদিন মারা যান। পরে এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

মামলার অন্যতম আসামি জসিমের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি থেকে জানা যায়, আসামিরা চোরা মোবাইল বিক্রয় করতে গেলে মিষ্টার তাদের চিনে ফেলায় তাদের সাথে শত্র“তার সৃষ্টি হয়।

আদালতে আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ্ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এসএম রফিকুল ইসলাম।

এদিকে রায় ঘোষনার পর আদালতে হাজির থাকা আসামিদের আত্মীয় স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তাদের চিৎকার চেচামেচিতে অন্যান্য এজলাসে চলতে থাকা বিচারকার্য ব্যাহত হয়।

এদিকে, কেরানীগঞ্জ থেকে ৫০ কেজি বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তার স্বপন কুমার রায়ের ১ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।বুধবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী শহিদুল ইসলাম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) পরিদর্শক আবদুল কাদের আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ড চান।

নথিসুত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরা এলাকার একটি গুদাম থেকে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ৫০ কেজি বিস্ফোরকসহ কেরানীগঞ্জ থেকে স্বপনকে আটক করে সিআইডি। উদ্ধার করা বিস্ফোরক দিয়ে কমপক্ষে এক হাজার হাতবোমা তৈরি করা সম্ভব বলে পুলিশের ধারনা।