2দৈনিক বার্তাঃ ব্যবসায়ীদের আন্দোলনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় এ পর্যন্ত প্রায় ৮ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন  অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। হিলি কাষ্টমস সহকারী কমিশনার সাকিল খন্দকারের সভাপতিত্বে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ উপজেলা প্রশাসন সমন্বয়ে কাষ্টমস চত্তরে সমঝোতা বৈঠক বসলেও সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠকটি শেষ হয়েছে। এদিকে আমদানি-রপ্তানি ৮ দিন থেকে বন্ধ থাকায় বন্দরের প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক ও কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছে। মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা।

গত ৭ মে হিলি শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশানর আমদানীকৃত পন্যের ম্যানিফেস্টে বিজিবি’র সিল মারা থেকে বিরত থাকতে লিখিত চিঠি দেন। এরপর বিজিবি তাঁদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে হিলি কাষ্টমস সি এন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশন ও ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।

হিলি কাষ্টমস সহকারী কমিশনার শাকিল খন্দকার জানান, আমদানিকৃত পন্য চালানের যাবতীয় কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষার কার্যক্রম কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ সম্পন্ন করবে- এমন বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে বিজিবি আমদানিকৃত পন্য চালানের মেনিফেষ্টে গ্রহন/ যাচাই/ সীল প্রদান কাষ্টমস আইনের পরিপন্থি’। তিনি এ বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট কতর্ৃৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।

এদিকে বিষয়টি নিরসনে জেলা প্রশাসকের অফিসে ও পরে হিলি কাষ্টমস সহকারী কমিসনার মো. সাকিল খন্দকার এর অহবানে অনুষ্টিত বৈঠকে বিজিবি’র উপস্থিতি না থাকায় সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠকটি শেষ হয়। ইতিমধ্যে ভারত থেকে আমদানি যোগ্য কাঁচাজাত পন্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, হিলি চেকপোষ্ট জিরোপয়েন্টে আমদানিযোগ্য পন্যের চালানের মেনিফেষ্ট কপিতে কাষ্টমস আইন বহির্ভুত ভাবে সাধারন নিরাপত্তা তল্লাসি সম্পন্ন সীল,স্বক্ষর,তারিখ,পন্যের তথ্যাদি,ড্রাইভার-হেলপারের ঠিকানা-স্বাক্ষর,সময়  ইত্যাদি কর্মকান্ড বন্ধ রাখা এবং বিজিবি’র নানা হয়রানির অভিযোগ এনে তা বন্ধের দাবিতে স্থলবন্দর ব্যবহারকারী সাতটি সংগঠন গত ১২ মে থেকে এ আন্দোলনে নেমেছেন।