11দৈনিক বার্তাঃ  জেলার ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হককে হত্যার প্রতিবাদে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগ বৃহস্পতিবারের এ হরতালের ডাক দেয়। উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম বুধবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হকের দাফন সম্পন্নের পর বুধবার দুপুরে তার বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা দৌলতপুর ব্রিজের পাটাতন খুলে ফেলে। এতে ফেনী, পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার সঙ্গে সব ধরনের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় তারা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
এদিকে একরামুল হকের হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মাইক্রোবাস ও দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি নেতা মাহাতাব উদ্দিন মিনার চৌধুরীকে প্রধান করে অজ্ঞাতপরিচয় ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
একরামের বড় ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফেনী মডেল থানায় মামলাটি করেন।
ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হককে মঙ্গলবার প্রাডো জিপে প্রথমে গুলি করে এবং পরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে শহরের একাডেমি এলাকার বিলাসী সিনেমা হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় গাড়িচালক মামুনসহ (৩০) চারজন গুরুতর আহত হন। বাকি আহতরা হলেন- ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন সামু (৬০), দৈনিক ফেনী প্রতিদিন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মহিবুবুল্লাহ ফরহাদ (৩২) ও দেলোয়ার হোসেন।