1দৈনিক বার্তাঃ  বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, দেশ প্রায় একদলীয় শাসনের দিকে যাচ্ছে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে  শক্তিশালী আন্দোলন গড়তে হবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে পিরোজপুরের কমল একাডেমী আয়োজিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, নাগরিক নিরাপত্তা, পেশাজীবী-রাজনীতিবিদদের মুক্তি এবং ব্যাপক কারচুপিপূর্ণ উপজেলা নির্বাচনসমূহের ফলাফল বাতিল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

কমল একাডেমীর চেয়ারম্যান মইনুল আহসান মুন্নার সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নূরুল আমিন বেপারী, বিকল্প যুবধারার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আসাদুজ্জামান বাচ্চু, পিরোজপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আকন, যুব দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক জোবায়ের এজাজ, আলী আকবর চুন্নু, পিরোজপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি এলিজা জামান, ব্যারিস্টার সরোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগরী কৃষক দলের সভাপতি নাসির হায়দার, নাজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান, তাজুল ইসলাম, মহিউদ্দিন মল্লিক, অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাব্বির আহম্মেদ, এইচ.এম দ্বীন মোহাম্মদ, সাইফুল ইসলাম শোভন, নূর হোসেন সুমন প্রমুখ।

বি. চৌধুরী বলেন, মাত্র ১০ শতাংশ ভোট নিয়ে এই সরকার এখন একদলীয় শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই দলটির ইতিহাস এক দলীয় শাসনের, ফ্যাসিবাদের এবং এরা সবসময় গণতন্ত্র বিরোধী। ভারতের সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিশাল বিজয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোদী জনগণের সাইকোলজী বুঝেছেন। অপরদিকে কংগ্রেস ননপলিটিক্যালি দেশ শাসন করেছে। কংগ্রেস সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং মূল চালিকাশক্তি (সোনিয়া) আসলে পরিপক্ক রাজনীতিবিদ নন। তাঁরা জনগণের ভাষা বুঝতে পারেননি।

বি. চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যাকে ইচ্ছা নিরাপত্তা দিতে পারেন। এর প্রমাণ আবু বকর। কিন্তু তার হতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ায় নাগরিক নিরাপত্তা নেই। তিনি অবিলম্বে মাহমুদুর রহমােনর মুক্তি এবং বন্ধ টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ খুলে দেওয়ার দাবি জানান।

বি. চৌধুরী দশম সংসদ নির্বাচনকে মহাকারচুপির নির্বাচন উল্লেখ করে বলেন, জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি এখন ‘সোনার পাথর বাটি’র  মতো, একদিকে বিরোধী দলে, অন্যদিকে সরকারি দলেও, যা পৃথিবীর ইতিহাসে নেই।

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে বিরোধীদলকে জনগণের ভিতরে ঢুকতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। জনগণের ভাষা বুঝতে হবে। দলের মধ্যে গণতন্ত্র রাখতে হবে। জনগণ যাকে নেতা হিসেবে চায়, তাকেই নেতা করতে হবে।  আর তা না হলে রাজনীতি চলে যেতে পারে ভয়ংকর পর্যায়ে।