46দৈনিক বার্তাঃ বর্তমানে পাওলি দামের রিলেশনশিপ স্টেটাস নাকি বেশ কমপ্লিকেটেড! কারণ তিনি আদৌ ‘সিঙ্গল’ নাকি ‘কমিটেড’ সেটা নিজেও নাকি জানেন না! প্রেমিক বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই মন-কষাকষি চলছিল পাওলির। আর তার জেরেই বেড়ে চলেছিল দু’জনের মধ্যকার দূরত্ব। এদিকে অতিরিক্ত ব্যস্ততার জন্য বিক্রমকে সময় দিতে না পারায়, পাওলির বিরুদ্ধে হালকা অভিযোগের সুরও শোনা যাচ্ছিল বিক্রমের গলায়। তবে আর যাই হোক, ব্রেক-আপের কথা কিন্তু তখনো মাথায় আসেনি দু’জনের কারোরই!
তবে টলিপাড়ায় ফিসফিস, ইদানীং নাকি পাওলি-বিক্রম সম্পর্কটা এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে যে একে-অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাই ছেড়ে দিয়েছেন তারা। এদিকে কাজের চাপে তো এখন নিশ্বাস ফেলারও জো নেই ব্যস্ত পাওলির। বলিউডে ‘হেট-স্টোরি’, ‘অঙ্কুর অরোরা মার্ডার কেস’-এ অভিনয় করার পর বিক্রম ভট্টের পরের ছবিতে কাজও শুরু করে দিয়েছেন তিনি। টলিউডেও পরপর বেশকিছু ছবির কাজ করছেন পাওলি। শোনা যাচ্ছে, গত মাসে শ্যুটিংয়ের কাজে মুম্বই যাওয়ার আগে একবারের জন্যও নিজের বয়ফ্রেন্ডকে ফোন করেননি অভিমাননিনী কন্যে। তার এ অভিমানের পেছনে অবশ্য কারণও রয়েছে!
শোনা যাচ্ছে, প্রেমিক বিক্রমের সঙ্গে, চ্যানেল ভি ‘গেট গর্জাস’ এবং ‘বিগ বস বাংলা’ খ্যাত সুন্দরী মডেল আইরিস মাইতির অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতাকে মন থেকে একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না পাওলি। বিগ বসের সেটেই বিক্রমের সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় আইরিসের। তারপর থেকে তাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা দেখে, স্বাভাবিকভাবেই নাকি বেশ ঈর্ষান্বিত হচ্ছিলেন পাওলি। আর সেই ঘনিষ্ঠতা এখন এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে, মুম্বইয়ের বড় বড় রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে কলকাতার নাইট ক্লাবগুলোতে জুটি বেঁধেই থাকতে দেখা যাচ্ছে বিক্রম-আইরিসকে।
বিক্রম কি আর জানেন না, পাওলির অভিমানের কারণ? জানেন তো বটেই! তবু প্রেমিকা রেগে-মেগে মুম্বই যাওয়ার পরও কলকাতার তন্ত্রতে বেশ অন্তরঙ্গ অবস্থাতেই নাকি তাকে দেখা গেছে নতুন এই বান্ধবীটির সঙ্গে। প্রত্যক্ষদর্শীরা তো বলছেন, সেদিন নাকি আইরিস রীতিমতো ফ্লার্টই করছিলেন বিক্রমের সঙ্গে।


যদিও বিক্রম আইরিসকে কেবল নিজের ‘ভালো বন্ধু’ হিসেবেই দেখেন, তবু সে কথা মানতে নারাজ পাওলি। তাই আপাতত বিক্রমের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখা থেকে বিরত থাকছেন কন্যে।