1দৈনিক বার্তাঃ নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সীমান্তবর্তী স্টেশন চিলাহাটি পর্যন্ত আন্ত:নগর ট্রেনসহ সব ট্রেন চলাচলের জন্য রেললাইন সংস্কার, স্টেশনের অবকাঠামো নির্মাণ, ইয়ার্ড নিমৃাণ, পানি চলাচলের ব্যবস্থাসহ সব কাজ ইতোপূর্বে সমাপ্ত হয়েছে। কিন্ত অজ্ঞাত কারণে গেল ১ বছর ধরে ট্রেন চালু হবে বা হচ্ছে করেও চালু হচ্ছে না। ফলে হাজার হাজার যাত্রী চলাচলের ক্ষেত্রে সমস্যায় ভুগছেন। চিলাহাটি, ডোমার, দেবীগঞ্জ, ডিমলা, জলঢাকার লাখ লাখ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি সৈয়দপুর ও নীলফামারী থেকে আন্ত:নগর ট্রেনগুলো সম্প্রসারণ করে চিলাহাটি পর্যন্ত চলাচল করা।

সেই দাবি পূরণে কয়েক বছর আগে চিলাহাটি ও ডোমারে মিছিল, মিটিং, হরতাল ও মানববন্ধনসহ নানারকম কমৃসূচি চালিয়ে যাওয়ার পর সরকার ২০০৯-১০ অর্থবছরে সৈয়দপুর থেকে চিলাহাটি পর্যন্ত ৬২ কিলোমিটার রেললাইন সংস্কার, অবকাঠামো, পানি সরবরাহ, টেলিফোন লাইন স্থাপন, ডিজিটাল সিগন্যাল ব্যবস্থাসহ যাবতীয় কাজের জন্য ১শ’ ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। এরপর ২০১০ সালে কাজ শুরু হলে পরবর্তীতে টাকার অংক বেড়ে ১শ’ ৭০ কোটি দাঁড়ায়। দীর্ঘ ৩ বছর কাজ করার পর এবছর কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে। কিন্ত ট্রেন চালু হচ্ছে না। গত ২০১৩ সালের জুলাই মাসের ১০ তারিখে ট্রেন চালু করার সমস্ত প্রস্ততি সম্পূর্ণ করার পর চালুর ১ ঘন্টা আগে কে উদ্বোধন করবেন সেই ব্যাখা নিয়ে রাজনৈতিক কারণে ট্রেন চালু উদ্বোধন বন্ধ করা হয়।

সেই ট্রেন চালুর জন্য স্থানীয় এমপি রেলমন্ত্রীর নিকট বহুবার গিয়ে ট্রেন উদ্বোধনের অনুমতি চেয়ে বার বার ব্যর্থ হয়েছেন। ওই রাজনৈতিক কারণে সৈয়দপুর- চিলাহাটি ট্রেন চালু হচ্ছে না। এর মধ্যে ১১ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও সেই ট্রেনের চাকা আার সচল হচ্ছে না। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ডোমার-ডিমলা আসনের এমপি এলাকাবাসীকে আশ্বস্থ করেছিল, অল্প সময়ের মধ্যে ট্রেন চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিন্ত ভোট হওয়ার ৫ মাস অতিবাহিত হওযার পরও ট্রেন চালুর কোন আলামত দেখা যাচ্ছে না। রেলওয়ের প্রকৌশল দপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী ফজলুর রহমান জানান, রেল উদ্বোধনে কোন বাধা নেই। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়েছে। পাথর ফেলার কিছু কাজ বাকি আছে যা অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ট্রেন চালুর ব্যাপারটা এখন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তাই ট্রেন চালু কবে হবে তা আমরা রেলের কমৃকর্তা- কর্মচারি বলতে পারবো না।