দৈনিক বার্তাঃ ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা নীতিন গড়করির করা মানহানি মামলার দ্বিতীয় শুনানিতেও মুচলেকার বিনিময়ে জামিন প্রত্যাখ্যান করেছেন আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাই আগামী ৬ জুন পর্যন্ত তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির একটি আদালত।এবার ১৪ দিনের হেফাজতে কেজরিওয়াল
শুক্রবার ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতেও মুচলেকা দিতে অস্বীকৃতি জানান দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। পরে তাকে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট গোমতি মানোচার।
এর আগে জামিনের ১০ রুপি দিতে রাজি না হওয়ায় গত বুধবার কেজরিওয়ালকে দু’দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায় আদালত। পরে তাকে দিল্লির তিহার জেলে রাখা হয়।
শুক্রবার কেজরিওয়ালের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ আদালতকে জানান, মামলাটি রাজনাতিক। তাই আম আদমি পার্টির নীতি অনুসারে জামিনের দশ হাজার রুপি দিতে তারা রাজি নন।
তিনি আরও জানান, এই ধরনের মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় না। তাই জামিনের টাকা দেওয়ার কোনও প্রয়োজনই নেই। তবে এর তীব্র বিরোধিতা করেন বিপক্ষের আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে বিজেপি ও কংগ্রেসের একাধিক রাজনৈতিক নেতাকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিহিত করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই তালিকায় ছিলেন বিজেপির সাবেক সভাপতি নীতিন গড়কড়িও। গড়কড়িকে দেশের ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ ব্যক্তি বলে দাবি করেন কেজরিওয়াল। কিন্তু ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন গড়কড়ি।
