1দৈনিক বার্তাঃ যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ এবং  ফেনীর  লোমহর্ষক দুটি ঘটনাসহ সারাদেশ গুম খুনের  দায় এড়াতে পারে না বর্তমান সরকার। আমাদের দায় নিতে হবে এবং এই ঘটনার সত্য উদঘাটন করতে হবে। এই দুটি ঘটনা মধ্যযুগীয় ববরাকেও হার মানিয়েছে। তাই এ ঘটনায় যারা জড়িত থাকুক না কেন তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে।

শনিবার সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী আ ফ ম  মোস্তাফা কামাল এবং  সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগের প্রধান  মেজর  জেনারেল আবদুল কাদের, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ওহাবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।ওবায়দুল কাদেও বলেন, ইতিমধ্যে নারায়গণঞ্জের ঘটনায় সরকার বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।  ফেনীর ঘটনাতেও সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেবে।  দোষী  যে দলেরই  হোক না  কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, নারায়নগঞ্জ ও ফেনী ঘটনার দায় সরকার এড়াতে পারে না। তাই এর দায় নিয়ে সত্য উন্মোচন করে দোষীদের শাস্তি প্রদান করাই হচ্ছে সরকারের কাজ।মন্ত্রী বলেন, আগামী ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কক্সবাজার-টেকনাফ  মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করবে সরকার।

দীর্ঘ ৮৪ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ  সম্পন্ন করতে আরো ২১০  কোটি বরাদ্ধ ধার্য করা হয়েছে। এই সময় পরিকল্পনা মন্ত্রী  প্রয়োজনীয় এই টাকা বরাদ্দের প্রতিশ্র“তি দেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান সরকার ২০১৫ সালের মধ্যে টেকনাফ পর্যন্ত এ সড়কের কাজ শেষ করতে চায়। এতে পর্যটন শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি কক্সবাজার-বান্দরবান নিয়ে সরকারের অর্থনৈতিক জোন বাস্তবায়ন করার প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে।এই সময়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল বলেন, কক্সবাজারের উন্নয়নে গৃহীত মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ প্রদান করবে।তিনি বলেন, একটি অর্থনৈতিক জোন হিসেবে কক্সবাজারকে সাজানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে সকলের সহযোগগিতা প্রয়োজন। অঞঘ

দেশের উপকূলবর্তী  জেলা কক্সবাজার আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের  ক্ষেত্রে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় জায়গাগুলোর একটিতে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন,মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট ও গভীর সমুদ্র বন্দর এবং কুতুবদিয়ায় অর্থনৈতিক  জোন স্থাপনের মাধ্যমে কক্সবাজারকে অর্থনৈতিকভাবে একটি সমৃদ্ধশালী অঞ্চলে পরিণত করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র  সৈতক বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত হলেও বিশ্ববাসীর কাছে এটা সেই অর্থে পরিচিত নয়। এজন্য কক্সবাজারকে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বিশেষ পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে  তোলা হবে।এ  প্রেক্ষিতে মুস্তফা কামাল জানান, কক্সবাজারে অভঙ্গুর ১২০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতের পাশ দিয়ে রাস্তা  তৈরি করে সমুদ্র সৈকত অঞ্চল ও পর্যটন স্পট করা হবে। এতে পর্যটন শিল্পসহ কক্সবাজারের সামগ্রিক অর্থনীতি বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আগামী পাঁচ বছরে যে পরিমাণ উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে তা বিগত ৪০ বছরের সমস্ত প্রকল্প  থেকেও  বেশি। এসব প্রকল্প সফল করতে হলে  দেশের সকল  মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। সরকার এ কাজটি গুরুত্ব সহকারে করে যাচ্ছে।এদিকে কক্সবাজারে সরকারি সম্পত্তি বেদখল হওয়া রোধ করতে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এখানকার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বেদখল হওয়া সরকারি জমি উদ্ধারের জন্যে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মেরিন ড্রাইভ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।