দৈনিক বার্তাঃ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছরে উন্নীত করার দাবি শুধু চাকরি প্রার্থীদের নয় এই দাবি এখন লাখ লাখ বৃদ্ধ বাবা-মায়ের। তাই এই ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে। অন্যথায় দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের নেতারা।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদিএক মানববন্ধনে এ কথা জানান।মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, সিলেট জেলা ছাত্র পরিষদ, যশোর জেলা ছাত্র পরিষদ, বাংলা কলেজ ছাত্র পরিষদসহ বেশ কয়েকটি জেলার ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা আর অবহেলিত থাকতে চাই না। আমাদের ন্যায্য দাবি পেতে চাই। আশা রাখি সরকার লাখ লাখ উচ্চ শিক্ষিত বেকারদের দীর্ঘদিনের এই দাবি মেনে নিবে। আর যদি দাবি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে আগামিতে সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সব সড়ক অবরোধসহ বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার খাতা-কলমে ২৩ বছরে শিক্ষা জীবন শেষ হলেও প্রকৃতপক্ষে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার বয়স শেষ হয় ২৭ থেকে ২৮ বছর বয়সে। এর মূল কারণ শিক্ষাজীবনের সেশনজট।তারা বলেন, আমাদের শিক্ষাজীবন শেষে চাকরি প্রস্তুতি নিতে নিতে সরকারি চাকরি বয়স শেষ হয়ে যায়। তাই সরকারি চাকরি নিয়োগ আমাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে হওয়া দরকার। যোগ্যতার সঙ্গে আমাদের বয়সের কোনো সম্পর্ক নেই।
ইউকে, ইউএসএ, কানাডার মতো দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা যেখানে ৫৯ থেকে ৬৫ বছর সেখানে আমাদের দেশ কেনো ৩০ বছর পিছিয়ে থাকবে? আমরা এই বৈষম্যের অবসান চাই এমন দাবি তুলে তারা বলেন, সরকার বিভিন্ন বিষয়ে উন্নত বিশ্বকে উদাহরণ হিসেবে নিতে পারলে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রে নিরব। লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবকের করুণ জীবন কি সরকারের চোখে পড়ে না?
এভাবে বেকারত্বের হার বাড়তে থাকলে আগামি প্রজন্ম শিক্ষা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে। এর ফলে নিরক্ষরতার হার আবার বেড়ে যাবে।তারা বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছে। ফলে আগামি তিন বছর যে সব পদ খালি হবার কথা, তা হবে না। এতে চাকরি প্রার্থীরা তিন বছর বঞ্চিত হবেন। এ তিন বছরের মধ্যে আরও কয়েক লাখ বেকার ছাত্রের চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ হয়ে যাবে।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের সভাপতি মো. ইমতিয়াজের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ রবিউল ইসলাম প্রমুখ।